ঋষি ধবন। —ফাইল ছবি
এক জন অলরাউন্ডারের খোঁজ করছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। সব ধরনের ক্রিকেটে দলের ভারসাম্য এবং শক্তি বৃদ্ধি করাই লক্ষ্য। একাধিক তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েক জনের নাম ঘোরাফেরা করছে। তাঁদের অন্যতম হিমাচল প্রদেশের অলরাউন্ডার ঋষি ধবন।
সম্প্রতি ভাল ছন্দে রয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন সদস্য। জাতীয় নির্বাচকদের নজরেও আছেন ঋষি। সূত্রের খবর, ৩১ বছরের অলরাউন্ডারের নাম আলোচনায় উঠতে পারে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের জন্য। ঋষির কথা বলেছেন সুনীল গাওস্করও। ঋষি হিমাচলের বিজয় হজারে ট্রফি জয়তে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। পাঁচটি অর্ধ শতরান-সহ তাঁর মোট সংগ্রহ ছিল ৪৫৮ রান। পাশাপাশি ১৭টি উইকেটও নেন। সম্প্রতি ভাল ছন্দে থাকলেও ঋষির ক্রিকেট পরিসংখ্যান কিন্তু দারুণ আকর্ষনীয় নয়। দল নির্বাচনী বৈঠকে যা তাঁর বিরুদ্ধে যেতে পারে। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন ঋষি। তিনটি এক দিনের আন্তর্জাতিকে ঋষির সংগ্রহ মাত্র ১২ রান। পেয়েছেন একটি উইকেট। একটি আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টিতে সংগ্রহ এক রান এবং একটি উইকেট। ফলত, তাঁর কথা আর ভাবা হয়নি জাতীয় দলের জন্য।
ঘরোয়া ক্রিকেটেও দারুণ সাফল্য নেই ঋষির। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫৯টি ম্যাচে করেছেন ২,৪৮৫ রান। উইকেট ২৪৮টি। ৫৮টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ ১,১৩২ রান এবং ৭৪টি উইকেট। ২০১৬ সালের পর সুযোগ পাননি আইপিএল-এও। ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে ২৬ ম্যাচে ১৫৩ রান করেছেন এবং ১৮টি উইকেট নিয়েছেন। সুতরাং, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায় তিনি কতটা দাগ কাটতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
যদিও গাওস্কর বলেছেন, ‘‘ভারতের একজন ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার প্রয়োজন। ভারত যখন বড় সাফল্য পেয়েছে বা বিশ্বকাপ জিতেছে যেমন ১৯৮৩, ১৯৮৫, ২০১১ এবং ২০১৩, এক জন অলরাউন্ডার দলে ছিল। তাতে অধিনায়ক এবং নির্বাচকরাও বেশি বিকল্প পান।’’ আরও বলেছেন, ‘‘চলতি মরসুমে ঋষি ভাল ছন্দে রয়েছে। আমার মনে হয় ওর সুযোগ প্রাপ্য। কারণ, আমাদের এমন এক জন অলরাউন্ডার প্রয়োজন, যে ছয় বা সাত নম্বরে ব্যাট করবে এবং প্রথম পরিবর্ত বোলার হিসেবে বল করতে পারবে। ভরসা দেওয়া হলে নিশ্চয় ও সুযোগ কাজে লাগাবে।’’
চোটের জন্য দীর্ঘ দিন বোলিং করতে পারছেন না হার্দিক পাণ্ড্য। চোট সারিয়ে সম্প্রতি বোলিং অনুশীলন শুরু করেছেন। হার্দিকের পরিবর্ত হিসেবে বেঙ্কটেশ আয়ার, দীপক চাহার এবং শার্দূল ঠাকুররা উঠে এসেছেন। কিন্তু হার্দিকের মত পরিপূর্ণ অলরাউন্ডার নন আয়ার। চাহার এবং শার্দূল অবশ্য নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। কিন্তু সানির পছন্দ ঋষি ধবনকে।