সম্মানজনক অবসর চান শোয়েব। ছবি: টুইটার থেকে
গত নভেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর আর পাকিস্তানের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগ পাননি শোয়েব মালিক। দু’দশকের বেশি সময় পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ৪০ বছরের প্রাক্তন পাক অধিনায়কের ক্রিকেট জীবন কি তবে শেষের পথে?
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেও অবসর নেওয়ার কথা এখনই ভাবছেন না শোয়েব। আরও দু’বছর অনায়াসে খেলতে পারবেন বলেই মনে করেন তিনি। ডান হাতি এই ব্যাটার বাঁ হাতে স্পিন বলও করেন। ২০১৯ বিশ্বকাপে মনসংযোগ করার জন্য ২০১৫ সালের শেষেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি। তার পর থেকে পাকিস্তানের হয়ে এক দিনের এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই দেখা যায় তাঁকে। বিশ্বের প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে ১০০টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক খেলার কৃতিত্বও তাঁর দখলেই রয়েছে।
কিন্তু জাতীয় দলে আর তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না শোয়েব। এখনও ক্রিকেট উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাক অধিনায়ক বাবর আজম তাঁকে দলে চাইছে আগামী অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে চান শোয়েব। সানিয়া মির্জার স্বামী বলেছেন, ‘‘আমার বয়স হলেও কেউ দাবি করতে পারবে না যে দলের আমি বোঝা। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফরম্যান্স করে চলেছি। বিশেষ করে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে। ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও সমস্যা নেই। এখনও আমি ক্রিকেট দারুণ উপভোগ করছি। নিজের অভিজ্ঞতা এবং গভীরতা কাজে লাগিয়ে খেলছি।’’
সম্প্রতি শেষ হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন শোয়েব। ১১ ম্যাচে করেছেন ৪১১ রান। পেশোয়ার জালমির হয়ে তাঁর ব্যাটিং গড় ৪৪.৫৫। তাঁর অবসর নিয়ে জল্পনা শুরু হলেও পাক অধিনায়ক বাবরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। এ নিয়ে বলেছেন, ‘‘আমাদের মধ্যে প্রায় দিনই কথা হয়। আমার ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হয়। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আমার পরিকল্পনার কথাও বলেছি বাবরকে। কখনই মনে হয়নি যে আর খেলতে পারব না। ব্যক্তিগত ভাবে জানতে চাইলে বলব, অবশ্যই এখনও নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। বাবরের সঙ্গে খোলা মনে পরিষ্কার ভাবে কথা বলছি ওই জন্যই।’’
আরও দু’বছর ক্রিকেট চালিয়ে যেতে পারলেও সম্মানজনক ভাবে ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান শোয়েব। বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেতে কারোর উপর চাপ তৈরি করতে চান না তিনি। বলেছেন, ‘‘বাবর আমাকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলার জন্য বলেছিল আমি খেলেছি। আবার ওই বলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কয়েক জন তরুণকে দেখতে চায়। আমি নিজেই সরে দাঁড়িয়ে ছিলাম।’’ আরও বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা হলেও প্রস্তুতি নিয়ে তেমন পরিকল্পনা করিনি। সম্মানের সঙ্গে অবসর নিতে চাই। বাবর আমাকে খেলতে বললে অবশ্যই খেলব। না হলে সম্মান নিয়েই সরে যাব।’’ উল্লেখ্য, তাঁর স্ত্রী সানিয়া মির্জা চলতি মরসুম শেষেই টেনিস র্যাকেট তুলে রাখার কথা জানিয়েছেন।