(বাঁদিকে) শাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। শাকিবের ছবি শাকিবের ফেসবুক থেকে এবং তামিমের ছবি তামিমের ফেসবুক থেকে নেওয়া।
বিশ্বকাপের আগে থেকে চলছে শাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল বিতর্ক। দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের ‘বিবাদ’ মেটাতে কার্যত হিমশিম খেতে হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট কর্তাদের। সেই বিতর্ক এ বার উঠে এল বাংলাদেশের একটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেও। আনন্দবাজার অনলাইন অবশ্য এই প্রশ্নপত্রের সত্যতা যাচাই করেনি।
তামিমকে ছাড়াই শাকিবের নেতৃত্বে বিশ্বকাপের দল গঠন করেছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে প্রত্যাশা মতো পারফরম্যান্স করতে পারেননি তাঁরা, লিগ পর্বে ন’টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র দু’টিতে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয় বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলিতে। ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই ক্ষোভ গোপন রাখেননি। সেই বিতর্কই এ বার জায়গা পেল ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্য়ালয় ‘ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রশ্নপত্রে। শাকিবের সঙ্গে তামিমের সম্পর্ক এবং তাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ভূমিকাকে জুড়ে একটি বিষয়ের উত্তর দিতে বলা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতার মতোই একটি সমস্যার কারণ খুঁজতে বলা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের।
প্রশ্নটিতে লেখা হয়েছে, ‘‘শাকিব বিসিবির সফট্অয়্যার ব্যবহার করেছে। লুকিয়ে তামিমের প্রোফাইল দেখেছে শাকিব। শাকিব খুব চালাক এবং একটি চিমটি কেটেছে। তামিমের প্রোফাইলে ঢুকে তামিম সেজে নিজেই লিখেছে, ‘আমি বিশ্বকাপ খেলব না।’ তামিমের সঙ্গে বোর্ড সভাপতির কথা বার্তাও দেখেছে শাকিব। তামিমের ইউজার নেম বদলে ‘ডটবাবা’ (সম্ভবত প্রচুর ডট বল খেলেন বলে এটা বলা হয়েছে) রেখেছে শাকিব। এই ঘটনায় তামিমের প্রোফাইলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। কী ভাবে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যেতে পারে ব্যাখ্যা কর।’’
বিশ্ববিদ্যালয়টির এই প্রশ্নপত্র সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই অভিনব এই প্রশ্নে বেশ মজা পেয়েছেন। তাঁরা প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। যদিও যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র বলে সমাজমাধ্যমে ছবি ভাইরাল হয়েছে, তাদের নাম স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এ ব্যাপারে।