দাপুটে জয় ভারতের।
কমনওয়েলথ গেমসে পদকের আশা জিইয়ে রাখলেন হরমনপ্রীত কৌররা। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারাল ভারত। বিসমা মারুফদের বিরুদ্ধে ১১.৪ ওভারেই ১০২ রান তুলল ভারত। পর পর দুই ম্যাচ হেরে চাপে বিসমারা।
জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রানে পৌঁছতে কোনও বেগই পেতে হল না ভারতকে। আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন দুই ওপেনার স্মৃতি মন্ধানা এবং শেফালি বর্মা। বেশি আগ্রাসী ছিলেন সহ-অধিনায়ক মন্ধানা। দুই ওপেনার মাত্র ৫ ওভারেই তুলে নেন ৫২ রান। এর পর ভারতের জয় ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তাতেও আগ্রাসী মেজাজের কোনও পরিবর্তন হয়নি ভারতের ব্যাটারদের। নেট রান রেট ভাল রাখার লক্ষ্য নিয়ে পাক শাসন অব্যাহত রাখেন তাঁরা। ৯ বলে ১৬ রান করে শেফালি আউট হওয়ার পরেও শুরু ছন্দই ধরে রেখেছিলেন মন্ধানা। সেই মেজাজেই পূর্ণ করলেন অর্ধশতরান। মাঠ ছাড়লেন দলকে জিতিয়ে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৪২ বলে ৬৩ রান করে। মারলেন ৮টি চার এবং ৩টি ছক্কা। তিন নম্বরে নেমে সাব্বিনেনি মেঘানা মূলত উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রাখলেন। ১৬ বলে ১৪ রান করে তিনি আউট হলেন ওমাইমা সোহেলের বলে। চার নম্বরে নামা জেমাইমা রদ্রিগেসকে (অপরাজিত ২) তেমন কিছু করতে হল না।
এর আগে ভাল শুরু করেও ছন্দ হারিয়ে ফেলে পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দল। টস দিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মিসবা। প্রথম ৮ ওভারে ১ উইকেটে ৫০ রান তোলার পরেও ৯৯ রানেই শেষ হয়ে গেল পাক ইনিংস। মিসবাদের শেষ ৫ উইকেট পড়ল মাত্র ২ উইকেটে। খুচরো রান নেওয়ার ক্ষেত্রে পাক ব্যাটারদের ভুল বোঝাবুঝিও চোখে পড়ল একাধিক ক্ষেত্রে। তিন ব্যাটার রান আউট হলেন। বৃষ্টির জন্য ম্যাচে ওভার সংখ্যা কমে হয় ১৮। তার মধ্যেই গুটিয়ে গেল পাক ইনিংস।
ওপেনার মুনিবা আলি ছাড়া পাকিস্তানের কোনও ব্যাটারই তেমন রান পেলেন না। অন্য ওপেনার ইরাম জাভেদকে (০) দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরান মেঘনা সিংহ। মুনিবা করলেন ৩০ বলে ৩২ রান। ৩টি চার, ১টি ছক্কা দিয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস শেষ হল স্নেহ রানার বলে। অধিনায়ক মিসবা করলেন ১৯ বলে ১৭ রান। তিনি ছাড়া আলিয়া রিয়াজ ২২ বলে ১৮ রান করলেন। এছাড়া কেউই তেমন রান করতে পারলেন না।
ভারতের সফলতম বোলার স্নেহ রানা ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। ১৮ রানে ২ উইকেট রাধা যাদবের। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মেঘনা সিংহ, রেণুকা সিংহ এবং শেফালি বর্মা।