ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ। —ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মঙ্গলবার বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের উপর নির্ভর করছিল তিনটি দলের ভাগ্য। সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার। ম্যাচ চলাকালীন তিন বার বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়। শেষ পর্যন্ত ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে আফগানিস্তান। সেই ম্যাচের পরেই জানা গেল, ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মের স্রষ্টাদের প্রথম জন, ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ প্রয়াত। গত ২১ জুন প্রয়াত হয়েছেন তিনি।
মৃত্যুর সময় ডাকওয়ার্থের বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। ইংরেজ রাশিবিজ্ঞানী টনি লুইসের সঙ্গে মিলে এই নিয়ম বানিয়েছিলেন তাঁরা। বৃষ্টির কারণে যদি কোনও কারণে ম্যাচে ওভার কমে, তা হলে কত বলে লক্ষ্য কত হবে, সেই হিসাব এই নিয়মে করা যায়। সেই কারণে, ক্রিকেট ম্যাচে বৃষ্টি হলেই তাঁদের স্মরণ করতে হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৯৯৭ সালে প্রথম বার ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়ম চালু করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। পরে ২০১৪ সালে এই নিয়মের নাম বদল করে হয় ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন (ডিএলএস) নিয়ম। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে কিছু বদল করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার রাশিবিজ্ঞানী স্টিভেন স্টার্ন। সেই কারণে, তাঁর নামও যোগ হয় সেই নিয়মে।
২০১০ সালের জুন মাসে ডাকওয়ার্থ ও লুইস দু’জনকেই এমবিই (মেম্বার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) সম্মান দেওয়া হয়। ক্রিকেটে ডিএলএস নিয়মে খেলার ভাগ্য বদল হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ।