রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
গত দু’বার অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তাদের হারিয়েছিল ভারত। এই জয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন চেতেশ্বর পুজারা। ২০১৮-১৯ সফরে চার টেস্টে ৫২১ রান করেছিলেন তিনি, যা সর্বাধিক। ২০২০-২১ সফর করেছিলেন ২৭১ রান, যা ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক। এ বার আর নেই তিনি। গত দু’বছর দলে জায়গা পাননি। এ বার তিনি ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায়। পার্থে প্রথম টেস্ট জেতার পর অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে চাপে রয়েছে ভারত। এখন থেকেই হারের আশঙ্কা করছেন ভারতীয় সমর্থকেরা। দিন-রাতের টেস্টে রোহিত শর্মারা দু’টি ভুল করেছেন, এমনটাই মনে করছেন পুজারা।
অ্যাডিলেডে ট্রেভিস হেডের ১৪০ রান ভারতকে চাপে রেখেছে। হেডের ব্যাটেই প্রথম ইনিংসে ১৫৭ রানের লিড নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। হেডের বিরুদ্ধে ভারতীয় পেসারেরা ঠিক জায়গায় বল করতে পারেননি বলে মনে করেন পুজারা। তাঁর মতে, হেডকে আরও বেশি শর্ট বল করা উচিত ছিল। তা না করে অসি ব্যাটারের শক্তি অনুযায়ী বল করেছেন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজেরা। পুজারা বলেন, “হেড যে শর্ট বলে সমস্যায় পড়ে তা এখন সকলেই জানে। কিন্তু আমাদের বোলারেরা দু’তিনটে বল শর্ট করেছে। বাকি সব বল অফ স্টাম্পের বাইরে করা হয়েছে। ও আরাম করে খেলেছে। আমার মনে হয় আরও শর্ট বল করলে হেডের সমস্যা হত। অফ স্টাম্পে লোক ছ’জন ফিল্ডার না রেখে পাঁচ জন রেখে ওকে আরও মিডল ও লেগ স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করতে হত। সেটা আমরা করিনি। তাই হেডের রান করতেও সমস্যা হয়নি।”
হেড যেখানে ভারতীয় বোলারদের ভুল কাজে লাগিয়ে রান করেছেন, সেখানেই ভারতীয় ব্যাটারেরা দেরিতে শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছে বলে মনে করেন পুজারা। তিনি বলেন, “আমরা অনেক দেরিতে বল খেলেছি। তার প্রধান কারণ, গোলাপি বলে আমাদের অভিজ্ঞতার অভাব। গোলাপি বলে শট মারতে হলে তাড়াতাড়ি মারতে হয়। কারণ, শেষ মুহূর্তে বল সুইং করে। তাতে ব্যাটারদের সমস্যা হয়। সেটাই হয়েছে। ব্যাট করতে নামার আগে পরিকল্পনা করে নিতে হত যে কোন বলে আমরা মারব আর কোন বল ধরব। সেই পরিকল্পনা ভাল ভাবে হয়নি।”
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারতের রান ৫ উইকেটে ১২৮। এই পরিস্থিতি থেকে রোহিতদের ফেরা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন পুজারা। কারণ, এখনও টেস্টের তিন দিনের খেলা বাকি। তিনি বলেন, “যদি দ্বিতীয় দিনের শেষে ২-৩টে উইকেট পড়ত তা হলেও বলতাম ফেরার একটা সুযোগ আছে। কিন্তু এখন আর নেই। এটাই শেষ জুটি। গোলাপি বলের বিরুদ্ধে ভারতের নীচের সারির ব্যাটারেরা বিশেষ কিছু করতে পারবে না।”