রঞ্জিতে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের উপর তাঁর এই কঠোর শৃঙ্খলা আইপিএলেও দেখা যাবে? —ফাইল চিত্র
কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে প্রথম বার ভারতীয় কোচ। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ইংল্যান্ড দলের দায়িত্ব নিয়ে চলে যান। সেই জায়গায় কোনও বিদেশি নয়, নিয়ে আসা হল রঞ্জিজয়ী ভারতীয় কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে। যিনি পরিচিত তাঁর কঠোর শৃঙ্খলার জন্য। ২০১২ সালে নাইট রাইডার্স মালিক শাহরুখ খানের সঙ্গে এক বার বৈঠক হয়েছিল পণ্ডিতের। সেই সময় সহকারী কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও রাজি হননি তিনি। এ বার কোচ হয়ে কেকেআর শিবিরে পা রাখলেন পণ্ডিত।
এক সময় শাহরুখের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পণ্ডিত। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? শাহরুখ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পণ্ডিত বলেছেন, “এক বার কোচিং করানো নিয়ে শাহরুখ খানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। তবে বিদেশি কোচের অধীনে আমি কাজ করতে চাইনি।” এ বার কেকেআরে তিনিই বস। তাঁর সহকারী অভিষেক নায়ার, ভরত অরুণরা।
গত মরসুমে রঞ্জির ফাইনালে মুম্বইকে হারিয়ে দেয় মধ্যপ্রদেশ। সেই দলকে তৈরি করার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল পণ্ডিতের। যে মধ্যপ্রদেশকে ক্রিকেটার হিসাবে ফাইনালে তুলেও হারতে হয়েছিল, সেই রাজ্যের কোচ হয়ে রঞ্জি জিতেছিলেন তিনি। সেই ফাইনালের আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পণ্ডিত বলেছিলেন, “আমাকে অনেকে কঠোর মনে করে হয়তো। আমি যেমনই হই, আমার লক্ষ্য একটাই— দলের ভাল করা, ক্রিকেটারদের ভাল করা। তার জন্য যদি আমাকে কঠোর হতে হয়, তাতে আমি কোনও ভুল দেখি না।” রঞ্জিতে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের উপর তাঁর এই কঠোর শৃঙ্খলা আইপিএলেও দেখা যাবে?
বয়স ষাটের কোঠা পেরিয়েছে। আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানেন। মধ্যপ্রদেশের জয়ের রান আসার আগে পর্যন্ত মুখে হাসি ছিল না পণ্ডিতের। চুপ করে বসেছিলেন একটি চেয়ারে। কিন্তু জয়ের রান আসতেই শিশুর মতো আনন্দে মেতে উঠেছিলেন মধ্যপ্রদেশের কোচ। পণ্ডিতের চোখে জলও দেখা যায়। সেই নিয়ন্ত্রিত আবেগের পণ্ডিত এ বার আইপিএল সংসারে।
মধ্যপ্রদেশের হয়ে রঞ্জিট্রফি জয়ের পর চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। ছবি: পিটিআই
ভারতের হয়ে পাঁচটি টেস্ট এবং ৩৬টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন পণ্ডিত। ক্রিকেটার হিসাবে তাঁর যা জনপ্রিয়তা ছিল, তা অনেকটা বেড়ে যায় কোচ হিসাবে। রঞ্জিতে একাধিক দলের কোচ হয়েছেন তিনি। মধ্যপ্রদেশ ছাড়াও তাঁর প্রশিক্ষণে রঞ্জি জিতেছে মুম্বই এবং বিদর্ভ। ২০১৪ সালের পর থেকে আইপিএলে ট্রফিহীন কেকেআর। চন্দ্রকান্তের হাত ধরে সেই ট্রফিটাই ছুঁতে চাইছে তারা।