২০১১ সালে ভারতের এক দিনের বিশ্বকাপ জয়। —ফাইল চিত্র
টেলিভিশন, মোবাইলে কি দেখা যাবে না বিশ্বকাপ ক্রিকেটের খেলা? সে রকমই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ, আইসিসি তাদের সম্প্রচার স্বত্বের নিলাম করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে। কী ভাবে নিলাম হবে, তা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয় সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলির কাছে। তাদের অভিযোগ, নিলামের পদ্ধতি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
ভারতের চারটি বড় সম্প্রচারকারী সংস্থা নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী। কিন্তু যে পদ্ধতিতে নিলাম হবে বলে আইসিসি জানিয়েছে, তা নিয়ে খুশি হতে পারছে না ওই সংস্থাগুলি। চারটির মধ্যে তিনটি সংস্থা জানিয়েছে, তাদের দাবি মানা না হলে নিলামে অংশ না-ও নিতে পারে।
৫ অগস্ট সম্প্রচার সংস্থাগুলি আইসিসি-র তরফে একটি বার্তা পায়। সম্প্রচারকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি বলেন, “পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায় ওই বার্তার পর। আমরা যে জায়গায়গুলোতে অসুবিধার কথা জানিয়েছিলাম, সেটা নিয়ে কোনও কথাই বলা হয়নি। আমরা স্বচ্ছ ভাবে নিলামের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু ব্যাপারটা আরও জটিল হয়ে গিয়েছে।” সংস্থাগুলির তরফে দাবি, নেটমাধ্যমে নিলাম আয়োজন করা হোক।
আইসিসির তরফে হাইব্রিড পদ্ধতিতে নিলাম আয়োজন করার কথা জানানো হয়েছে। সেখানে প্রথমে একটি বাছাই পর্বের পর প্রয়োজন মনে হলে নেটমাধ্যমে নিলাম হবে। পুরোটাই নির্ভর করবে আইসিসির উপর। এই পদ্ধতি সম্পর্কে পরিষ্কার কোনও ধারণা নেই সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলির কাছে। ফলে কত টাকা নিয়ে তারা নিলামে যাবে, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছে না তারা।
একটি সংস্থার কর্তা বলেন, “পুরো ব্যাপারটা পরিষ্কার করার কথা বলে আইসিসি যে বার্তা দিয়েছে, তাতে আরও জটিলতা তৈরি হয়েছে। আমরা কত টাকার দর হাঁকব সে ব্যাপারে নিশ্চিত নই। নেটমাধ্যমে নিলাম কবে, কখন হবে তা-ও জানি না। পুরো বিষয়টা দেখে মনে হচ্ছে, আইসিসি জানেই না তাদের সম্প্রচার স্বত্বের কত দাম হওয়া উচিত। আমাদের দর হাঁকা দেখে ওরা দাম ঠিক করতে চায়। এটা ঠিক নয়। পুরো বিষয়টা খুব অস্বচ্ছ। আমার মনে হয় একটা দাম ঠিক করে নেটমাধ্যমে ওদের নিলাম করা উচিত। যে ভাবে বিসিসিআই করেছে।”
সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলি মনে করে, নিলাম খুব স্বচ্ছতার সঙ্গে হওয়া উচিত। আইসিসি-র পদ্ধতিতে সেটাই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি তাদের। আইসিসি এই ব্যাপারে কিছু না বললেও বোর্ডের খুব কাছের এক ব্যক্তি বলেন, “সত্যি বলতে, সংস্থাগুলি সম্প্রচার স্বত্ব কিনতে প্রচণ্ড আগ্রহী। সেই কারণেই ওরা চাপে আছে। সেই কারণে এক এক জন এক এক রকমের দাবি জানিয়েছে। আইসিসি-র তরফে যা করার, করা হয়েছে। সকলের সব আশা পূর্ণ হবে না তাতে। সকলকে পদ্ধতি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২২ অগস্টের মধ্যে ওদের নিজেদের দর জানাতে হবে। ২৬ অগস্ট সেই দর সামনে আনা হবে। যদি প্রয়োজন মনে করা হয়, তা হলে নেটমাধ্যমে নিলাম হবে।”