‘বাজবল’ নিয়ে উত্তর ম্যাকালামের। ছবি রয়টার্স
ব্রেন্ডন ম্যাকালামের দায়িত্বে পর পর চারটি টেস্টে জিতেছিল ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডকে চুনকাম করার পর ভারতের বিরুদ্ধে এজবাস্টন টেস্টেও এসেছিল জয়। বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিল ‘বাজবল’ তত্ত্ব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই তত্ত্বই মুখ থুবড়ে পড়েছে। আড়াই দিনে প্রথম টেস্ট হারতে হয়েছে। তবে ‘বাজবল’-এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, একেবারেই মানতে রাজি নন ম্যাকালাম। স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলাই তাঁদের লক্ষ্য।
কী এই ‘বাজবল’?
ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে ইদানীং এই কথাটি বেশ প্রচলিত হয়েছে। এক শব্দে এর মানে বোঝা যাবে না। ‘বাজ’ ম্যাকালামের ডাকনাম, যিনি আগ্রাসী ক্রিকেট পছন্দ করেন। তাই ‘বাজবলে’র অর্থ হচ্ছে আগ্রাসী, হার-না-মানা, ভয়ডরহীন ক্রিকেট। দায়িত্ব নিয়েই সে কথা দলের প্রত্যেকের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন ম্যাকালাম। প্রথম দিকে এই পন্থা সফল হলেও হঠাৎই ধাক্কা খেয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর বলেছেন, “প্রথম টেস্টে হারের পর আমরা নিজেদেরই জিজ্ঞাসা করতে চাই, ‘বিপক্ষের উপর যথেষ্ট দাপট কি দেখাতে পেরেছি?’ আরও আক্রমণাত্মক খেলা উচিত ছিল আমাদের। বিপক্ষকে চাপে রাখা দরকার ছিল। সেটা আমরা পারিনি। ওরা আমাদের চাপে রাখার সময় আরও বেশি সাহসী হওয়ার দরকার ছিল। পাল্টা বিপক্ষকে চাপ দিতে হত।”
সাম্প্রতিক কালে একেবারেই ছন্দে নেই ইংল্যান্ডের ওপেনার জাক ক্রলি। অনেকেই দাবি করছেন ম্যাঞ্চেস্টারে দ্বিতীয় টেস্টে তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার। ম্যাকালাম সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, “ওর যথেষ্ট প্রতিভা রয়েছে। প্রতি দিনই কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করছে। আমাদের ধৈর্য রাখতে হবে। ক্রলির প্রতি আমার যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। ভবিষ্যতে ইংল্যান্ডকে অনেক ম্যাচে জেতানোর ক্ষমতা রয়েছে ওর।”