India Vs Bangladesh

১৪৪৪ দিন পর শতরান পুজারার, তিন অঙ্কে শুভমনও, বাংলাদেশকে ৫১৩ রানের লক্ষ্য দিল ভারত

চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের সামনে বিশাল রানের চাপ। ভারত ৫১৩ রানের লক্ষ্য রাখল শাকিব আল হাসানদের সামনে। সেই রান তোলার জন্য আড়াই দিন সময় পাবে বাংলাদেশ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৪৩
Share:

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পুজারা, শুভমনের শতরান। ছবি: পিটিআই

শুভমন গিল এবং চেতেশ্বর পুজারার জোড়া শতরান। বাংলাদেশের সামনে চট্টগ্রাম টেস্টে ৫১৩ রানের বিশাল লক্ষ্য রাখল ভারত। টেস্টে প্রথম শতরান পেলেন শুভমন। সেই দিনেই পুজারার শতরানের খরা কাটল। ১৪৪৪ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরান করলেন তিনি। এর আগে পুজারার শতরান এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে। এত দিন পর আবার ভারতের জার্সিতে হেলমেট খুলে ব্যাট আকাশে তুলতে দেখা গেল পুজারাকে। সেই সঙ্গে ইনিংস ডিক্লেয়ার দিয়ে দেন লোকেশ রাহুলও। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের রান ২৫৮/২।

Advertisement

শুক্রবার চট্টগ্রামে শতরানের পর শুভমন যখন ব্যাট তুলছেন, তখন উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা পুজারার তখন অর্ধশতরানও হয়নি। জীবনের প্রথম টেস্ট শতরান চার মেরে করলেন শুভমন। এর আগে ৯১ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শতরানের খুব কাছে এসেও হাতছাড়া হয়েছিল সেই মাইলফলক। চট্টগ্রামে অবশেষে শতরান এল। একাধিক বার এই স্বাদ পাওয়া পুজারা জানেন প্রথম বার দেশের হয়ে শতরান পেলে কেমন লাগে। উল্টো দিক থেকে দেখলেন চার মেরে শতরান করে শুভমনের হেলমেট খোলা, ব্যাট তোলা, মাথা নত করে সাজঘরের অভিবাদন গ্রহণ করা।

শুভমনের যখন টেস্ট অভিষেক হয়, তারও আগে শতরান এসেছিল পুজারার ব্যাটে। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ৩ জানুয়ারি শতরান করেছিলেন তিনি। এর পর বহু ম্যাচ খেলে ফেললেও শতরান আসেনি। একটা সময় পুজারাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু যে পুজারাকে রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়। মনে করা হয়, দ্রাবিড়ের মতো তিনিও তিন নম্বরে নেমে উইকেটের সামনে দেওয়াল তুলে দেবেন। যতই উইকেট পড়ুক, তিনি টিকে থাকবেন। পুজারা তাই করতেন, শুধু রানটা আসত না। ১০০, ২০০ বল খেলে পুজারা থেমে গিয়েছেন ৩০, ৪০ রান। দল থেকে বাদ পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে চলে গেলেন পুজারা। সেখানে ম্যাচের পর ম্যাচ শতরান। শুধু তাই নয় স্ট্রাইক রেটেও চমক দিলেন পুজারা। চট্টগ্রামে ১৩০ বলে ১০২ রানের ইনিংস বলছে যে, পুজারা এখন আর শুধু উইকেটের সামনে দেওয়াল তোলেন না রানও করেন। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী গতি পাল্টাতে পারেন।

Advertisement

প্রথম ইনিংসে ভারত ৪০৪ রান তুলেছিল। পুজারা ৯০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শতরান থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থেমে গিয়েছিল তাঁর ইনিংস। শ্রেয়স করেছিলেন ৮৬ রান। শেষ বেলায় রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৫৮) এবং কুলদীপ যাদব (৪০) ভারতকে বড় রান তুলতে সাহায্য করেছিলেন। বল হাতেও বাংলাদেশের ঘাতক হয়ে ওঠেন কুলদীপ। ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। বাংলাদেশ শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৫০ রানে। ২৫৪ রানে এগিয়ে থেকেও ভারত ফলো-অন করায়নি। নিজেরা ব্যাট করতে নেমে ২৫৮ রান তুলে নেয় পুজারা এবং শুভমনের শতরানে। তৃতীয় দিনের শেষে বাংলাদেশ ৪২ রান তুলেছে কোনও উইকেট না হারিয়ে। এই ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশের প্রয়োজন আর ৪৭১ রান। ভারতের চাই ১০ উইকেট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement