পৃথ্বীকে নিগ্রহে অভিযুক্ত ভোজপুরী অভিনেত্রী স্বপ্না জামিন পেলেন। ছবি: টুইটার।
১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেলেন ভোজপুরী অভিনেত্রী স্বপ্না গিল। আন্ধেরীর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে। সোমবারই স্বপ্না-সহ ধৃত চার জনের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়।
আদালতে দাঁড়িয়ে পৃথ্বী শয়ের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ জানিয়েও প্রথমে রেহাই পাননি ভোজপুরী অভিনেত্রী। পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষের দিন সোমবার স্বপ্না-সহ ধৃত চার জনকে আদালতে হাজির করানো হয়। প্রথমে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক। পৃথ্বীকে শারীরিক ভাবে হেনস্থার ঘটনায় ধৃত আরও তিন জনকেও ১৪ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। প্রথমে তাঁদের জামিনের যে আবেদন করা হয়েছিল, তাতে কিছু অসঙ্গতি থাকায় খারিজ করে দেন বিচারক সি পি কাশিদ।
পরে আবার জামিনের জন্য আবেদন করেন স্বপ্নার আইনজীবী। তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। দু’পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল শোনার পর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। প্রথমে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৮, ১৪৯, ৩৮৪, ৪৩৭, ৫০৪ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে ওশিওয়ারা থানার পুলিশ। পৃথ্বীর বন্ধু আশিস যাদব পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন স্বপ্না-সহ আট জনের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ ছিল, বেসবল ব্যাট দিয়ে তাঁদের গাড়িতে হামলা, ৫০ টাকা না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন স্বপ্নারা। যদিও গত শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হলে স্বপ্না অভিযোগ করেছিলেন, মত্ত অবস্থায় পৃথ্বী তাঁর বুকে এবং হাতে আঘাত করেছেন। মুম্বইয়ের ক্রিকেটার ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন সমাজমাধ্যমে পরিচিত ভোজপুরী অভিনেত্রী।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিগ্রহের ঘটনাটি ঘটেছিল। সে দিন রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল স্বপ্না এবং তাঁর বন্ধুদের। ঘটনার দিন রাতে ওশিওয়াড়া থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন স্বপ্না এবং তাঁর বন্ধুরা। স্বপ্না অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় তাঁদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।