নায়ক: ব্যাটে-বলে দাপট শাহবাজ় আহমেদের। ছবি সিএবি।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। ব্যাট করছিলেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। বাংলার অধিনায়ক বল তুলে দেন মুকেশ কুমারের হাতে। রঞ্জি ট্রফি থেকে বাংলাকে একের পর এক ম্যাচ জিতিয়ে আসা মুকেশ নিরাশ করেননি। তাঁর বোলিংয়েই দু’রানে জিতল বাংলা। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে টানা দু’ম্যাচ জিতে ভাল জায়গায় শাহবাজ় আহমেদরা।
অসমের বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে বাংলা। উপরের সারির ব্যাটারদের ব্যর্থতাকে উপেক্ষা করে ২৫ বলে ৩৫ রান করেন শাহবাজ়় আহমেদ। ১৬ বলে ২১ রান ঋত্বিক রায়চৌধুরীর। ওপেনার অভিষেক দাস ২৭ বলে ৩৫ রান করে যান। সুদীপ ও ঋদ্ধিমান সাহা এ দিন বড় রান পাননি। তবুও তাঁদের ব্যর্থতা ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করেন শাহবাজ়।
ক্রুণাল পাণ্ড্যের বরোদার বিরুদ্ধে ১৪৬ রান করে জেতা যে সহজ নয়, তা জানতেন মুকেশ, আকাশ দীপরা। শুরু থেকেই বিপক্ষের উপরে চাপ সৃষ্টি করেন তাঁরা। তবে ঈশান পোড়েল তিন ওভারে ২৫ রান দিয়ে বাংলার বিপদ ডেকে আনেন। ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, মুকেশ, কর্ণ লাল ও শাহবাজ়ের দুরন্ত বোলিং বাংলাকে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যেতে দেয়নি। চার ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে এক উইকেট ঋত্বিকের। ২৬ রানে দুই উইকেট নেন শাহবাজ়। ২৯ রানে এক উইকেট আকাশের। দু’ওভারে ১৫ রানে এক উইকেট নেন কর্ণ। ৫৭ রানে অপরাজিত থেকেও বরোদাকে জেতাতে পারলেন না অভিজ্ঞ ক্রুণাল।
বাংলাকে জেতাতে পেরে খুশি শাহবাজ়। বলেছেন, ‘‘উইকেটে অসমান বাউন্স ছিল। বলও বেশি ঘুরছিল। তাই জানতাম ১৪৬ রান তাড়া করা সহজ হবে না।’’ বল হাতেও সফল হওয়ার নেপথ্যে উইকেটের অবদান যে আছে, তা অস্বীকার করেননি শাহবাজ়। বলছিলেন, ‘‘পিচ থেকে অনেকটাই সাহায্য পেয়েছি। তবে এক প্রান্ত থেকে ঋত্বিক চাপ সৃষ্টি না করলে এই জয় পাওয়া সহজ ছিল না।’’
কোচ অরুণ লালও প্রশংসা করলেন ঋত্বিকের। বলছিলেন, ‘‘অসাধারণ বল করল। ক্রুণাল ওকে মারতেই পারেনি। ওর বলে দু’টো ক্যাচ না পড়লে আরও আগে শেষ হয়ে যেত ম্যাচ।’’ ঋত্বিক রায়চৌধুরীর প্রশংসাও করলেন অরুণ। বললেন, ‘‘দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছে ও রান আউট করেছে। শেষের দিকে মূল্যবান রান পেয়েছি ওর জন্যেই।’’ বাংলার সামনে আজ, শনিবার প্রতিপক্ষ মুম্বই। পৃথ্বী শ, অজিঙ্ক রাহানে, যশস্বী জয়সওয়ালেরা শুক্রবারই হারিয়েছেন সার্ভিসেসকে। বাংলার গ্রুপে অন্যতম শক্তিশালী দল মুম্বই। তাদের হারাতে মরিয়া সুদীপরা। অরুণ বলছিলেন, ‘‘ভাল দলের বিরুদ্ধে জিতলেই তো প্রতিযোগিতায় এগোতে পারব। তা ছাড়া আমরাও তো খারাপ দল নই। বাংলা টানা দু’ম্যাচ জিতেছে। এই আত্মবিশ্বাসই মুম্বই ম্যাচে আমাদের সাহায্য করবে।’’
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলা ১৪৬-৭ (শাহবাজ় ৩৪) বনাম বরোদা ১৪৪-৬ (ক্রুণাল ৫৭ অপরাজিত, শাহবাজ় ২-২৬)। দুই রানে জয়ী বাংলা।