অভিমন্যু ঈশ্বরণ। — ফাইল চিত্র।
ভারতীয় টেস্ট দলে ঢোকার দাবি আরও জোরালো করলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। রঞ্জি ট্রফিতে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করলেন। এই নিয়ে টানা চারটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে শতরান হল অভিমন্যুর। তবে বাংলার জেতা হল না। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ড্র হল ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে তিন পয়েন্ট পেল বাংলা। প্রিয়ম গর্গের শতরান বাংলাকে জিততে দিল না।
৭৮ রানে খেলা শুরু করেছিলেন অভিমন্যু। দ্রুত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ২৭তম শতরান করেন। গত ন’ইনিংসে পঞ্চম শতরান। বাংলা ৩ উইকেটে ২৫৪ রানে ডিক্লেয়ার করে। জিততে উত্তরপ্রদেশের দরকার ছিল ২৭৪ রান।
লখনউয়ের পিচের অবস্থা তত ক্ষণে বেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। পিচে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ক্ষত। উত্তরপ্রদেশের টপ অর্ডারকে বাংলার বোলারেরা ফিরিয়ে দিলেও একাই লড়াই করে গেলেন প্রিয়ম গর্গ। উত্তরপ্রদেশ দিনের শেষে তুলল ১৬২/৬।
সকালের দিকে আকাশ মেঘলা থাকলেও উত্তরপ্রদেশের বোলারেরা সুইং পাননি। বাংলার দুই ওপেনারকে টলাতে পারেননি। অভিমন্যু শতরান করলেও ৯৩ রানে থামতে হয় সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে। সৌরভ কুমারের বলে আউট হয়ে দুই ইনিংসেই শতরানের সুযোগ হারান।
পর পর দু’বলে ফিরে যান সুদীপ ঘরামি এবং অভিষেক পোড়েল। তবে অভিমন্যু একাই টানছিলেন বাংলাকে। প্রতি বলে রান নিচ্ছিলেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির কয়েক মিনিট পরেই ডিক্লেয়ার করে বাংলা।
উত্তরপ্রদেশের ইনিংসের দ্বিতীয় বলে আউট হন আরিয়ান জুয়াল। আবারও তাঁর উইকেট নেন মুকেশ কুমার। মহম্মদ কাইফ পর পর ফেরান স্বস্তিক চিকারা এবং সিদ্ধার্থ যাদবকে। চাপে পড়েছিল উত্তরপ্রদেশ। তবে নীতীশ রানাকে নিয়ে লড়াই করেন প্রিয়ম। রানা ফেরার পর প্রিয়মকে ক্রমাগত আক্রমণাত্মক বল করেছেন বাংলার বোলারেরা। বুক, কুঁচকি, পাঁজরে আঘাত খেয়েও লড়াই ছাড়েননি প্রিয়ম। শতরান করে দলকে এনে দিয়েছেন এক পয়েন্ট।