মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
পারলেন না মহম্মদ শামি। পারলেন না শাহবাজ আহমেদ। হার্দিক পাণ্ড্য, ক্রুণাল পাণ্ড্যের বরোদাকে হারাতে পারল না বাংলা। কোয়ার্টার ফাইনালে ৪১ রানে হেরে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি থেকে বিদায় নিল তারা।
মুস্তাক আলিতে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারেনি বাংলা। প্লে-অফে চণ্ডীগড়কে টান টান ম্যাচ ৩ রানে হারায় তারা। সেই ম্যাচে ব্যাটে-বলে নায়ক ছিলেন শামি। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে পারলেন না জাতীয় দলে দীর্ঘ দিন খেলা এই পেসার। এই ম্যাচে দুই দলে নজরে ছিলেন শামি ও হার্দিক। জাতীয় দলের এই দুই ক্রিকেটারের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন হার্দিক।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বরোদার জয়ের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার শাশ্বত রাওয়াত ও অভিমন্যু সিংহ। ৯.৪ ওভারে ৯০ রানের জুটি বাঁধেন তাঁরা। নতুন বল কাজে লাগাতে পারেননি শামি, কণিষ্ক শেঠরা। ফলে উইকেট পড়েনি। শাশ্বত ৪০ ও অভিমন্যু ৩৭ রান করেন। তিন নম্বরে নেমে বড় রান পাননি হার্দিক। ১০ রান করে আউট হন তিনি। অধিনায়ক ক্রুণাল করেন ৭ রান। এই দুই ব্যাটার রান না পাওয়ায় বরোদা ২০০ রানে পৌঁছতে পারেনি।
২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান করে বরোদা। বাংলার বোলারদের মধ্যে এই ম্যাচে শৃঙ্খলা দেখা যায়নি। ১৫ রান অতিরিক্ত দেন তাঁরা। নইলে হয়তো খেলার ছবি অন্য হত। শামি ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। শেষ দিকে উইকেট পেলেও শুরুতে উইকেট তুলতে না পারায় সমস্যায় পড়ে বাংলা।
১৭৩ রান তাড়া করে জিততে হলে বাংলার ইনিংসের শুরুটা ভাল করতে হত। দ্রুত রান তুলতে শুরু করেছিলেন অভিষেক পোড়েল। সমস্যা হচ্ছিল আর এক ওপেনার করণ লালের। তিনি ৬ রান করে আউট হন। অধিনায়ক সুদীপ ঘরামি ২ ও ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় শূন্য রানে আউট হন। অভিষেক ২২ রান করে ফেরায় বড় ধাক্কা খায় বাংলা।
ব্যাট হাতে রান না পেলেও বল হাতে নজর কাড়লেন হার্দিক। নতুন বলে উইকেট নিলেন তিনি। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন হার্দিক। তাঁর দাপটে ম্লান হয়ে গেল শামির বোলিং। বরোদার আর এক পেসার মেরিওয়ালাও ৩ উইকেট নেন।
বাংলার হয়ে জুটি বাঁধেন ঋত্ত্বিক রায়চৌধুরি ও শাহবাজ। ঋত্ত্বিক ২৯ রান করেন। শাহবাজ একাই লড়াই করেন। কিন্তু সঙ্গি হিসাবে কাউকে পাননি তিনি। পর পর উইকেট পড়ায় কোনও জুটি হয়নি বাংলার। তাতেই ম্যাচ হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। ৩৬ বলে ৫৫ রান করে আউট হন শাহবাজ। তত ক্ষণে অবশ্য ম্যাচ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। দু’ওভার বাকি থাকতেই ১৩১ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলা। আশা জাগিয়ে আরও একটি প্রতিযোগিতা থেকে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে লক্ষ্মীরতন শুক্লের দলকে।