মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র।
আউট হয়ে গিয়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও অনুষ্টুপ মজুমদার। কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট পেতে হলে এখনও দু’টি সেশন খেলতে হবে বাংলাকে। আর তার পুরো দায়িত্ব অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির কাঁধে। চতুর্থ দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে বাংলার রান ৫ উইকেটে ২১৭। কেরলকে হারাতে এখনও ২৩২ রান করতে হবে তাদের। কেরলের জিততে দরকার ৫ উইকেট। খেলার যা পরিস্থিতি, তাতে অঘটন না ঘটলে এই ম্যাচে বাংলার হার সময়ের অপেক্ষা।
চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিলেন অভিমন্যু ও অনুষ্টুপ। চলতি মরসুমে বাংলার সব থেকে ধারাবাহিক ব্যাটারের উপর ভরসা ছিল দলের। কিন্তু এই ইনিংসে পারলেন না তিনি। সেই জলজ সাক্সেনার বলে ১৬ রানে আউট হলেন। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ভাল খেলছিলেন তিনি। ভরসা দিচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন মনোজ। ম্যাচ জেতা নির্ভর করছিল এই দুই ব্যাটারের উপরে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে ছন্দপতন হল অভিমন্যুর। সেই জলজের বলেই ৬৫ রানে আউট হলেন অভিমন্যু।
অভিষেক পোড়েল ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্মক শট খেলা শুরু করেন। সেটাই তাঁর স্বাভাবিক খেলা। মাত্র ১৮ বলে ২৮ রান করলেও টিকে থাকতে পারলেন না অভিষেক। শ্রেয়স গোপালের বলে আউট হয়ে গেলেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে বাংলার রান ৫ উইকেটে ২১৭। মনোজ ৩২ ও শাহবাজ় আহমেদ ২১ রানে ব্যাট করছেন।
প্রথম ইনিংসে কেরল ৩৬৩ রান করেছিল। শতরান করেছিলেন সচিন বেবি (১২৪) এবং অক্ষয় চন্দ্রন (১০৬)। কেরলের পিচে পেসারেরা খুব একটা সাহায্য পাচ্ছিলেন না। বাংলার দুই পেসার আকাশ দীপ এবং সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল একটি করে উইকেট নেন। চোট সারিয়ে দলে ফেরা শাহবাজ় আহমেদ নেন ৪ উইকেট। অঙ্কিত মিশ্র নেন ৩ উইকেট। একটি উইকেট করণ লালের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলার ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৮০ রানে। অভিমন্যু ঈশ্বরণ ছাড়া আর কোনও ব্যাটার রান করতে পারেননি। ৭২ রান করেন তিনি। ৯টি উইকেট নেন জলজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কেরল ৬৪.২ ওভারে ২৬৫ রান তোলে। কেরলের এই ইনিংসে বাংলার দুই জোরে বোলার একটি বলও করেননি। সদ্য ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছেন আকাশ দীপ। ফর্মে রয়েছেন সূরজও। কিন্তু পিচ থেকে স্পিনারেরা সাহায্য পাচ্ছিলেন বলে অধিনায়ক মনোজ টানা বল করিয়ে গেলেন শাহবাজ়, অঙ্কিত এবং করণকে দিয়ে। মাঝে নিজে করলেন ১ ওভার এবং রণজ্যোত সিংহ খারিয়াকে দিয়ে ২ ওভার করালেন। তাতেও লাভ হয়নি। বাংলার সামনে ৪৪৯ রানের লক্ষ্য রাখে কেরল।