কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লের সঙ্গে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ইডেনে ইনিংস এবং ৪ রানে হেরে গেল বাংলা। অনুষ্টুপ মজুমদারের শতরানের মান রাখতে পারল না দল। নক আউটে ওঠাও কঠিন হবে বাংলার। প্রথম ইনিংসে মুম্বই তোলে ৪১২ রান। বাংলা প্রথম ইনিংসে শেষ হয়ে যায় ১৯৯ রানে। ফলো অন করায় মুম্বই। ২১৩ রান দরকার ছিল ফলো অন বাঁচানোর জন্য। কিন্তু ৪ রান বাকি থাকতেই ইনিংসে হেরে গেলেন মনোজ তিওয়ারিরা।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লজ্জার হার বাংলার। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ম্যাচে প্রথম ঈশান পোড়েলদের বোলিং চিন্তায় ফেলেছিল কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লকে। লাইন, লেংথ ঘেঁটে গিয়েছিল বাংলার। অজিঙ্ক রাহানেহীন মুম্বইও ৪১২ রান তুলে নেয়। অধিনায়ক শিভম দুবে ৭২ রান করেন। সূর্যাংশ শেদগে করেন ৭১ রান। চোট সারিয়ে দলে ফেরা পৃথ্বী শ ওপেন করতে নেমে ৩৫ রান করেন। শেষ বেলায় অথর্ব আঙ্কোলকর (৪৬) এবং রয়স্টন ডায়াস (৪৬ অপরাজিত) রান করেন।
সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল বাংলার হয়ে ৬ উইকেট নিলেও বাকিরা কেউ দাগ কাটতে পারেননি। শুধু বোলারেরা নন, ব্যর্থ হন ফিল্ডারেরা। একের পর এক ক্যাচ ফেলে বাংলা। সেই সুবিধা নিয়ে বড় রান তুলে ফেলে মুম্বই।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলার তরুণ ব্রিগেড ব্যর্থ। হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারি এবং অনুষ্টুপ। তাঁদের ব্যাটে ভর করে ১৯৯ রান তোলে বাংলা। ১০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন অনুষ্টুপ। তাঁর সেই শতরান যদিও বাংলাকে ম্যাচ জেতাতে পারল না।
বাংলাকে ফলো অন করায় মুম্বই। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও বাংলার ব্যাটারদের ভুল শোধরাতে দেখা যায়নি। মুম্বই ফিল্ডারদের ক্যাচ নেওয়ার অনুশীলন করালেন সৌরভ পাল (২৫) এবং শ্রেয়াংশ ঘোষ (৫)। সুদীপ ঘরামি করেন ২০ রান। বাংলার ইনিংস ধরতে সেই ভরসা ছিলেন মনোজ এবং অনুষ্টুপ। কিন্তু প্রতি ইনিংসে রান করা তাঁদের পক্ষেও কঠিন হয়। অনুষ্টুপ ১৪ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে যান। মনোজ কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারলেন না বড় রান করতে।
চেষ্টা করেছিলেন অভিষেক পোড়েল। তরুণ উইকেটরক্ষক ৮৩ বলে ৮২ রান করেন। মনোজ করেন ২৬ রান। তাঁরা ছাড়া কাউকে দেখে মনে হয়নি ক্রিজ়ে টিকতে পারবেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট নেওয়া মুম্বইয়ের মোহিত অবস্তি ম্যাচের সেরা হয়েছেন।