অনুষ্টুপ মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
প্রথম ইনিংসে উঠেছিল ১২৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ রান। ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই রঞ্জি ট্রফিতে হরিয়ানার বিরুদ্ধে ডুবতে হল বাংলাকে। অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায় চোটের জন্য ছিলেন না। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার না থাকায় সমস্যায় পড়ল বাংলার ব্যাটিং বিভাগ।
কল্যাণীতে হরিয়ানার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে হরিয়ানা। পেসার সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। মুকেশ কুমার এবং মহম্মদ কইফ দু’টি করে উইকেট নিয়েছিলেন। তাঁদের দাপটে বাংলা ভাল জায়গায় ছিল। কিন্তু বোলারদের দাপট দেখা যায়নি ব্যাটারদের মধ্যে। মাত্র ১২৫ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার প্রথম ইনিংস। কম রানে শেষ হয়ে গিয়েও ৩২ রানে লিড পেয়ে গিয়েছিল হরিয়ানা।
দ্বিতীয় ইনিংসে হরিয়ানা ৩৩৬ রান তোলে। বাংলার বোলারেরা কেউই সে ভাবে রান আটকাতে পারেননি। তবে সেই ইনিংসেও সূরজ পাঁচটি উইকেট নেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১টি উইকেট নেন বাংলার পেসার। হরিয়ানার হয়ে ৮০ রান করেন নিশান্ত সিন্ধু। ৭২ রান করেন হিমাংশু রানা। তাঁদের দাপটেই বাংলার সামনে ৩৬৯ রানের লক্ষ্য দেয় হরিয়ানা।
বড় রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৮৫ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার ইনিংস। ঋদ্ধিমান সাহা ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তরুণ ওপেনার অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায় ২১ রান করেন। প্রদীপ্ত প্রামাণিক করেন ১২ রান। মুকেশ কুমার করেন ১১ রান। আর কোনও ব্যাটার দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
বাংলার পরের ম্যাচ পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। কল্যাণীতেই হবে সেই ম্যাচ। তবে বাংলা শেষ ম্যাচে জিতলেও রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারবে কি না তা নিশ্চিত নয়। ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলা।