লক্ষ্মীরতন শুক্ল। —ফাইল চিত্র।
রঞ্জি ট্রফির নক আউটে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জয়। ঘরের মাঠে সেই ম্যাচ হওয়ায় বাড়তি সুবিধা ছিল বাংলার। বিপক্ষে অজিঙ্ক রাহানের মতো ব্যাটার না থাকায় আরও কিছুটা সহজ হয়েছিল কাজটা। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলার ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং এতটাই নির্বিষ রইল যে, সহজে ম্যাচ জেতার পথে এগিয়ে গেল মুম্বই। পেতে পারে বোনাস পয়েন্টও।
প্রথম ইনিংসে মুম্বই ৪১২ রান তোলে। বাংলার বোলারদের লাইন, লেংথে সমস্যা ছিল। দ্বিতীয় দিনের সকালে মুম্বইকে দ্রুত আউট করার পরিকল্পনা ছিল মনোজ তিওয়ারিদের। কিন্তু বাংলার সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল বাদে কোনও বোলারকেই উইকেট নেওয়ার মতো বল করতে দেখা যায়নি। অফ স্টাম্পের বাইরে বল করে গেলেন ঈশান পোড়েলেরা। উইকেট ছেড়ে খেলেও রান করে গেলেন মুম্বইয়ের এগারো নম্বরে নামা রয়স্টন ডায়াস। ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন এই বোলার।
ব্যাট করতে নেমেও ব্যর্থ হয় বাংলা। অনুষ্টুপ মজুমদার ১০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাকিদের মধ্যে অধিনায়ক মনোজ করেন ৩৬ রান। অন্য কোনও ব্যাটার ২০ রানের গণ্ডিও পার করতে পারেননি। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৯৯ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলা। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হয় সেখানেই। তৃতীয় দিন সকালে বাংলাকে ফলো অন করায় মুম্বই।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও বাংলার ব্যাটারদের ভুল শোধরাতে দেখা যায়নি। মুম্বই ফিল্ডারদের ক্যাচ নেওয়ার অনুশীলন করালেন সৌরভ পাল (২৫) এবং শ্রেয়াংশ ঘোষ (৫)। সুদীপ ঘরামি করেন ২০ রান। বাংলার ইনিংস ধরতে সেই ভরসা ছিলেন মনোজ এবং অনুষ্টুপ। কিন্তু প্রতি ইনিংসে রান করা তাঁদের পক্ষেও কঠিন হয়। অনুষ্টুপ ১৪ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে যান। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলা ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৭৪ রান। এখনও ১৩৯ রানে পিছিয়ে রয়েছে তারা। ইনিংসে হারের আশঙ্কা বাংলার।