মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র।
বাংলার সামনে ৪৪৯ রানের বিরাট লক্ষ্য দিয়েছে কেরল। সেই রান পার করতে শেষ দিনে মনোজ তিওয়ারিদের প্রয়োজন ৩৭২ রান। হাতে এখনও ৮ উইকেট থাকলেও চাপে বাংলাই। কেরলের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ হারলে বাংলার পক্ষে আর কোনও ভাবেই রঞ্জির নক আউটে ওঠা সম্ভব হবে না।
গত বার রঞ্জির ফাইনাল খেলেছিল মনোজ তিওয়ারির বাংলা। কিন্তু ফাইনালে হেরে ট্রফি ছোঁয়ার স্বপ্ন সত্যি হয়নি। মনোজ চেয়েছিলেন এ বারের রঞ্জিতে আরও এক বার ট্রফি জয়ের চেষ্টা করতে। সেই কারণেই এ বারের রঞ্জিতে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন এই রঞ্জি খেলেই অবসর নেবেন। রঞ্জি জয়ের স্বপ্ন হয়তো সত্যি হবে না মনোজের। কারণ বাংলার পক্ষে এখন নক আউটে ওঠাটাই কঠিন।
প্রথম ইনিংসে কেরল ৩৬৩ রান করেছিল। শতরান করেছিলেন সচিন বেবি (১২৪) এবং অক্ষয় চন্দ্রন (১০৬)। কেরলের পিচে পেসারেরা খুব একটা সাহায্য পাচ্ছেন না। বাংলার দুই পেসার আকাশ দীপ এবং সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল একটি করে উইকেট নেন। চোট সারিয়ে দলে ফেরা শাহবাজ় আহমেদ নেন ৪ উইকেট। অঙ্কিত মিশ্র নেন ৩ উইকেট। একটি উইকেট করণ লালের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলার ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৮০ রানে। অভিমন্যু ঈশ্বরণ ছাড়া আর কোনও ব্যাটার রান করতে পারেননি। ৭২ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কেরল ৬৪.২ ওভারে ২৬৫ রান তোলে। কেরলের এই ইনিংসে বাংলার দুই জোরে বোলার একটি বলও করেননি। সদ্য ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছেন আকাশ দীপ। ফর্মে রয়েছেন সূরজও। কিন্তু পিচ থেকে স্পিনারেরা সাহায্য পাচ্ছিলেন বলে অধিনায়ক মনোজ টানা বল করিয়ে গেলেন শাহবাজ়, অঙ্কিত এবং করণকে দিয়ে। মাঝে নিজে করলেন ১ ওভার এবং রণজ্যোত সিংহ খারিয়াকে দিয়ে ২ ওভার করালেন। তাতেও লাভ হয়নি। বাংলার সামনে ৪৪৯ রানের লক্ষ্য রাখে কেরল।
বাংলার চাপ তৈরি হয়েছিল ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই। তৃতীয় দিনের শেষে তা আরও বেড়ে গিয়েছে। শেষ দিনে জিততে হলে বাংলার প্রয়োজন ৩৭২ রান। ইতিমধ্যেই ওপেনার রণজ্যোত (২) এবং তিন নম্বরে নামা সুদীপ ঘরামি (৩১) আউট হয়ে গিয়েছেন। সুদীপ আউট হতেই দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়। ক্রিজ়ে রয়েছেন অভিমন্যু। ৩৩ রান করে অপরাজিত তিনি। সোমবার সকালে অনুষ্টুপ মজুমদার, মনোজ তিওয়ারি, অভিষেক পোড়েলদের উপর দায়িত্ব থাকবে বাংলাকে জেতানো। কিন্তু ইতিমধ্যেই দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট তুলে নেওয়া জলজ সাক্সেনাদের বিরুদ্ধে ৩৭২ রান তোলা সহজ হবে না। জয়ের জন্য কেরলের চাই ৮ উইকেট।