মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র।
কেরলের বিরুদ্ধে রঞ্জি টর্ফির ম্যাচে কোণঠাসা বাংলা। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে মনোজ তিওয়ারির দলের রান ৮ উইকেটে ১৭২। সঞ্জু স্যামসনের দলের থেকে ১৯১ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলা। কেরলের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৬৩ রানে।
রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হতে চলল, অথচ বাংলার ব্যাটারেরা ফর্মে ফিরতে পারলেন না। কেরলের বিরুদ্ধেও ব্যাটিং বিপর্যয়। অভিমন্যু ঈশ্বরণ ছাড়া বাংলার কোনও ব্যাটার রান করতে পারলেন না। ভারত ‘এ’ দলকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলার হয়ে এই ম্যাচেই খেলতে নেমেছেন ঈশ্বরণ। ওপেন করতে নেমে তিনি করলেন ৭২ রান। ১১টি চার এল বাংলার প্রাক্তন অধিনায়কের ব্যাট থেকে। অপর ওপেনার রণজ্যোৎ সিংহ খারিয়া রঞ্জির অভিষেক ইনিংসে নজর কাড়তে পারলেন না। ৬ রানে আউট হলেন তিনি। তিন নম্বরে নেমে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেন সুদীপ ঘরামি। ৩৩ রান করে তিনি আউট হওয়ার পর ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাল বাংলা। মনোজ (৬) আবার ব্যর্থ। রান পেলেন না অনুষ্টুপ মজুমদার (শূন্য), অভিষেক পোড়েলরা (২)। চোট সারিয়ে দলে ফেরা শাহবাজ় আহমেদ আউট হলেন ৮ রান করে। শনিবারই ভারতীয় টেস্ট দলে ডাক পাওয়া আকাশ দীপের অবদান ৪। দিনের শেষে লড়াই করছেন করণ লাল (অপরাজিত ২৭) এবং সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল (অপরাজিত ৯)।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১ উইকেটে ১০৭ রান থেকে পরের ১২.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫১ রান হয়ে যায় বাংলা। মনোজদের ইনিংসে ধস নামানোর আসল কারিগর কেরলের জলজ সাক্সেনা। অভিজ্ঞ বোলার একাই ৭ উইকেট নিলেন ৬৭ রান খরচ করে। ২৮ রানে ১ উইকেট নিধেশের।
প্রথম দিনের শেষে কেরলে রান ছিল ৪ উইকেটে ২৬৫। শুক্রবার শতরান করে অপরাজিত থাকা ব্যাটার সচিন বেবি করলেন ১২৪ রান। শতরান পেলেন আর এক অপরাজিত ব্যাটার অক্ষয় চন্দ্রনও। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১০৬ রানের ইনিংস। এ ছাড়া বাসিল থাম্পি ২০ এবং নেদুমানকুঝি বাসিল করেছেন ১৬ রান। বাংলার বোলারদের মধ্যে সফলতম শাহবাজ় ৭৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ৮৪ রানে ৩ উইকেট অঙ্কিত মিশ্রর। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন সুরজ, আকাশ এবং করণ।