লক্ষ্মীরতন শুক্ল। —ফাইল চিত্র।
রঞ্জি ট্রফিতে এই মরসুমে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলা। আবহাওয়া একাধিক ম্যাচে ডুবিয়েছে লক্ষ্মীরতন শুক্লের দলকে। বাংলার কোচ মনে করেন দল হারলে কোচের উচিত নিজেকে সামনে আনা। দায় নেওয়া। কখনও কোনও ক্রিকেটারকে দায়ী করতে রাজি নন লক্ষ্মী।
লক্ষ্মী যখন এই কথা বলছেন, তখন ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা গিয়েছে ভিন্ন ঘটনা। রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছে তামিলনাড়ু। সোমবার সেই হারের পর মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর কোচ সুলক্ষণ কুলকর্নি দোষ দেন অধিনায়ককে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সাই কিশোর। কোচের মতে তাতেই ম্যাচ হেরে গিয়েছে তামিলনাড়ু। এক জন কোচের থেকে এমন আচরণ কি আশা করা যায়? বাংলার কোচ লক্ষ্মী বললেন, “ক্রিকেট একটা দলের খেলা। এখানে দল জেতে, দল হারে। ভারত বিশ্বকাপে ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর তো কেউ বলেনি বিরাট কোহলির জন্য হেরেছে, রোহিত শর্মার জন্য হেরেছে। বলেছে ভারত হেরেছে। জিতলেও সকলে বলে ভারত জিতেছে।”
লক্ষ্মীর প্রশিক্ষণে গত মরসুমে বাংলা রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেলেছিল। কিন্তু জিততে পারেনি। লক্ষ্মী বলেন, “দল হারলে আমি নিজে দায় নিয়ে এগিয়ে যাই। জিতলে অন্যদের এগিয়ে দিই। কোচ হিসাবে তো এটাই করা উচিত।”
গত শনিবার শুরু হয়েছিল রঞ্জি সেমিফাইনাল। সকাল ৯টার সময় টস হয়েছিল। সুলক্ষণের মতে তখনই ম্যাচ হেরে যায় তামিলনাড়ু। পিচে ঘাস ছিল। তার পরেও অধিনায়কের টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত অবাক দলের কোচ। সুলক্ষণ বলেন, “পিচ দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম কী হতে চলেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে অন্য উইকেটে খেলা হয়েছিল। সেমিফাইনালে যে পিচে খেলা হচ্ছে সেটা পেসার সহায়ক। জানতাম ম্যাচটা কঠিন হবে। আমাদের ভাল খেলতে হবে। আমি সোজাসাপটা কথা বলতে পছন্দ করি। প্রথম দিন সকাল ৯টার সময় আমরা ম্যাচ হেরে গিয়েছিলাম। আমরা টস জিতেছিলাম। আমি নিজে মুম্বইকর। এই পরিবেশ আমার পরিচিত। আমাদের প্রথমে বল করা উচিত ছিল। কিন্তু অধিনায়কের মত আলাদা ছিল। ওর পরিকল্পনা আলাদা ছিল।”
আগামী মরসুমেও বাংলার কোচের দায়িত্ব নিতে তৈরি লক্ষ্মী। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেছিলেন, “রাজনীতি ছেড়ে ক্রিকেটে ফিরে এসেছি। বাংলার জন্যই ফিরেছি। আগামী মরসুমেও দলকে প্রশিক্ষণ দেব।” তাঁর কোচিংয়ে একাধিক নতুন মুখ বাংলা ক্রিকেটে উঠে এসেছে। তাঁদের নিয়েই আগামী দিনে রঞ্জি জেতার স্বপ্ন দেখেন লক্ষ্মী।