বৃহস্পতিবার সিএবিতে গেলেন অভিমন্যু, দেহরাদূনে রয়েছেন অরুণ লাল।
ইডেন ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন ঋদ্ধিমান সাহা, সেই সময় এলেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ বাংলার ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে (এনওসি নিলেন) যখন বেরিয়ে গেলেন ঋদ্ধি, তখন বাংলার অধিনায়ককে নিয়ে আলোচনায় বসল সিএবি। উপস্থিত ছিলেন সিএবি প্রধান অভিষেক ডালমিয়া এবং সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।
এ বারের রঞ্জিতে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় বাংলা। গত বার ফাইনাল খেললেও এ বছর মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে হেরে বিদায় নিতে হয় অভিমন্যুদের। রঞ্জির সেই পারফরম্যান্স নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে আগামী বছর বাংলা দলে বদলে যেতে পারে অনেক কিছুই। সরিয়ে দেওয়া হতে পারে কোচ অরুণ লালকে। সেই সঙ্গে কোচিং স্টাফদেরও বাদ দেওয়া হতে পারে।
অরুণ লালের জুন মাসের শেষে সিএবিতে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু সিএবি সচিব ছিলেন না। তিনি ৩০ জুন কলকাতায় ফিরেছেন। কলকাতায় নেই অরুণ লালও। তিনি দেহরাদূনে ছুটি কাটাচ্ছেন। ঘটনাচক্রে, বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যুর জন্ম সেই শহরেই। আগামী সপ্তাহে শহরে ফিরে সিএবিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন অরুণ লাল। কিন্তু তাঁকে পরের মরসুমে কোচ রাখার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানা গিয়েছে।
পরের মরসুমে নতুন কোচের দিকেই ঝুঁকছে সিএবি। শেষ মুহূর্তে কোনও বড় চমক না ঘটলে অরুণ লালের বাংলার কোচ থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই। মনোজ তিওয়ারিদের কোচ হিসাবে পরের মরসুমে কাকে দেখা যাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।