লক্ষ্মীরতন শুক্ল। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত একই সঙ্গে সামলাচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের দায়িত্ব। ঘরোয়া ক্রিকেটে সেই মধ্যপ্রদেশকে শেষ দু’বারের সাক্ষাতে দু’বারই হারাল লক্ষ্মীরতন শুক্লের বাংলা। বুধবার বিজয় হজারে ট্রফিতে ১৯৩ রানে জিতল লক্ষ্মীর ছেলেরা।
গত মরসুমে বাংলার কোচের দায়িত্ব পান লক্ষ্মীরতন শুক্ল। তাঁর প্রশিক্ষণে বাংলা গত মরসুমে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশকে হারিয়েছিল। সেই দলের কোচ ছিলেন পণ্ডিত। যদিও ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে জিততে পারেনি বাংলা। এই মরসুমে বিজয় হজারেতে (৫০ ওভারের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা) গ্রুপ ই-তে রয়েছে বাংলা। একই গ্রুপে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। বুধবার সেই ম্যাচে বাংলা প্রথমে ব্যাট করে ২৫৪ রান তোলে। পণ্ডিতের মধ্যপ্রদেশ শেষ হয়ে যায় মাত্র ৬১ রানে। বাংলার বোলারদের দাপটে বেঙ্কটেশ আয়ার, রজত পটীদারদের দল দাঁড়াতেই পারল না। ৪ উইকেট নিলেন শাহবাজ় আহমেদ। ৩ উইকেট নিলেন আকাশ দীপ। ২ উইকেট ঈশান পোড়েলের। একটি উইকেট নেন করণ লাল।
২০২১-২২ মরসুমের রঞ্জি সেমিফাইনালে বাংলা হেরেছিল মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে। সে বারও মধ্যপ্রদেশের কোচ ছিলেন পণ্ডিত। বাংলার কোচ যদিও সেই সময় ছিলেন অরুণ লাল। ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচ হিসাবে পণ্ডিতের সেই সাফল্যের পরেই তাঁকে কোচ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। নাইটদের কোচ হিসাবে গত আইপিএলে যদিও খুব একটা সাফল্য পাননি তিনি। এই মরসুমে পণ্ডিতের সঙ্গে মেন্টর হিসাবে কেকেআর জুড়ে দিয়েছে গৌতম গম্ভীরকে।
লক্ষ্মী বাংলার কোচ হয়ে আসার পর রঞ্জিতে বাংলাকে ফাইনালে তুলেছিলেন। ট্রফি যদিও জিততে পারেননি। এই মরসুমে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে (ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা) বাংলা প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে অসমের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল। চলতি বিজয় হজারেতে চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই জিতেছে লক্ষ্মী-বাহিনী। ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে তারা। তামিলনাড়ু একটি ম্যাচ কম খেলে ১২ পয়েন্ট দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে থাকা মধ্যপ্রদেশেরও ১২ পয়েন্ট। রান রেটের বিচারে এগিয়ে বাংলা।