প্যাট কামিন্স এবং বেন স্টোকস। —ফাইল চিত্র।
ম্যাচ হারার সঙ্গে জনি বেয়ারস্টোর আউট আরও গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে ইংল্যান্ডের। বেন স্টোকস তো বলেই দিলেন, তিনি এমন কাজ করতেন না। এটা ক্রিকেটের নীতির বিরোধী বলে মনে হয়েছে ইংরেজ অধিনায়কের। অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স মনে করছেন, তাঁরা কোনও অন্যায় করেননি।
রবিবার প্রথম সেশনে প্রথমে আউট হন বেন ডাকেট। ইংরেজ ওপেনার ৮৩ রান করে আউট হন। ব্যাট করতে নামেন জনি বেয়ারস্টো। তাঁর সঙ্গে স্টোকসের জুটির দিকেই তাকিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ক্যামেরন গ্রিনের বাউন্সার থেকে মাথা বাঁচিয়ে নেওয়ার পর বেয়ারস্টো ভুলেই গেলেন বল কোথায়। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি সঙ্গে সঙ্গে বল ছুড়ে উইকেট ভেঙে দেন। রান আউট হয়ে যান বেয়ারস্টো। যদিও অনেকের মতে এটাকে স্টাম্পও বলা যায়। উইকেটরক্ষকই তো বল ছুড়ে উইকেট ভেঙেছেন।
ম্যাচ শেষে স্টোকস বলেন, “আমি ওই ভাবে ম্যাচ জিততে রাজি নই। ওটা আউট ছিল, সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে আমি যদি অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক হতাম, তাহলে আম্পায়ারের উপর আরও বেশি চাপ দিয়ে জিজ্ঞেস করতাম যে, ওভার হয়েছে কি না। কিন্তু এটা ক্রিকেটের নীতির বিরুদ্ধে। আমি এটা করতাম না। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ওটা ম্যাচ জেতানো মুহূর্ত। কিন্তু আমি কি ওই ভাবে ম্যাচ জিততে রাজি? আমার উত্তর, না।”
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কামিন্স সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বললেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় অ্যালেক্স ক্যারি কয়েক বল আগে থেকেই লক্ষ্য করে যে, বেয়ারস্টো ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। ওই বলে কোথাও খেলা থামেনি। বল উইকেটরক্ষকের হাতে গিয়েছে এবং সে সেটা ছুড়ে উইকেট ভেঙেছে। আমার কাছে সেটা একেবারেই ক্রিকেটের নীতি মেনেই হয়েছে। স্বচ্ছ ভাবে খেলা হয়েছে। নিয়ম মেনে খেলা হয়েছে। কেউ কেউ হয়তো মানবেন না। শনিবারের ক্যাচটিও যেমন অনেকে মানতে চাননি। আমি সে ভাবেই দেখছি।”
লর্ডসে প্রথম ইনিংসে ৪১৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ৩২৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করে ২৭৯ রান। ইংল্যান্ডের সামনে ৩৭১ রানের লক্ষ্য রেখেছিল তারা। কিন্তু ৪৩ রান বাকি থাকতেই অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।