এখন কোনও প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে জৈবদুর্গে থাকতে হয় ক্রিকেটারদের। বাইরের দুনিয়ার প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসতে না পারায় অনেক সময় মানসিক ভাবে হতাশ হয়ে পড়েন তাঁরা। ফলে সিরিজের মাঝপথে বাড়ি ফিরে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যে আর চাপ বাড়াতে চাইছে না বিসিসিআই।
এই টেস্টে পাশ করলে তবেই সুযোগ মেলে দলে ফাইল চিত্র।
ইয়ো-ইয়ো টেস্ট কঠিনতর করতে চাইছে না বিসিসিআই। ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। অর্থাৎ এই মুহূর্তে যে পদ্ধতিতে কোনও ক্রিকেটারের ফিটনেস পরীক্ষা করা হয়, সেই পদ্ধতি জারি থাকবে।
কী এই ইয়ো-ইয়ো টেস্ট?
কোনও ক্রিকেটার জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন কি না সেটা নির্ভর করে এই টেস্টের উপরে। বেশ কয়েকটি পরীক্ষা রয়েছে যেগুলি পাশ করতে হয় ক্রিকেটারদের। এই টেস্টে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে ফের বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে গিয়ে পরিশ্রম করতে হয়। শুধু জাতীয় দলে নয়, বিসিসিআই জানিয়েছে, ইয়ো-ইয়ো টেস্টে ব্যর্থ হলে আইপিএলেও সুযোগ দেওয়া হবে না সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে।
ইয়ো-ইয়ো টেস্ট আরও কঠিন করা হবে বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে বোর্ড। বিসিসিআই-এর এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, ‘‘না, ইয়ো-ইয়ো টেস্ট আরও কঠিন করার কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। কারণ সেটা খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। এখন অনেক বেশি ক্রিকেট খেলতে হয়। তাই আমরা অতিরিক্ত চাপ দিতে চাই না।’’
এখন কোনও প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে জৈবদুর্গে থাকতে হয় ক্রিকেটারদের। বাইরের দুনিয়ার প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসতে না পারায় অনেক সময় মানসিক ভাবে হতাশ হয়ে পড়েন তাঁরা। ফলে সিরিজের মাঝপথে বাড়ি ফিরে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যে আর চাপ বাড়াতে চাইছে না বিসিসিআই।