সৌরভ ও জয়ের ভাগ্য নির্ধারণ আগামী মাসে। —ফাইল চিত্র
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পরবর্তী সভাপতি কে? সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ই কি দ্বিতীয় বারের জন্য সভাপতি পদে বসবেন? না কি বোর্ড সচিবের পদ ছেড়ে এ বার সভাপতি হবেন জয় শাহ? এই প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে আগামী মাসেই। ১৮ অক্টোবর বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা। সে দিনই সভাপতি নির্বাচন।
সব রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থাগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছে বিসিসিআই। সেখানে লেখা, ‘১৮ অক্টোবর মুম্বইয়ে বোর্ডের ৯১তম বার্ষিক সাধারণ সভা। বিস্তারিত পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। সবাইকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।’
এই চিঠির সঙ্গে আরও একটি কাগজ পাঠানো হয়েছে, যেখানে লেখা বার্ষিক সভায় কী কী নিয়ে আলোচনা হবে। তার মধ্যে সব থেকে উল্লেখযোগ্য, সভাপতি, সহ-সভাপতি, সচিব, যুগ্মসচিব ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচন।
এখন দেখার, সৌরভ আরও এক বার সভাপতির নির্বাচনে দাঁড়ান কি না। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে সেই সম্ভাবনা ক্রমশ কমছে। কারণ, এ বার সভাপতি হতে না পারলে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী জয়কে আরও ছ’বছর অপেক্ষা করতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় এ বারই ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পদে বসতে চাইবেন। ছ’বছর পরে বোর্ডের রাজনীতি কোন খাতে বইবে তার পুরোটাই অনিশ্চিত। স্বাভাবিক ভাবেই জয় নিজেকে এই চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলতে চাইবেন না। এ ছাড়া ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সূত্রে খবর, নির্বাচনে প্রায় সব রাজ্য সংস্থাই চোখ-কান বুজে জয়কে ভোট দেবে। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকা রেল, সার্ভিসেস এবং ইউনিভার্সিটির ভোটও জয় পাবেনই। জয় সভাপতি হলে বোর্ডের নতুন সচিব পদের জন্য বর্তমান কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধূমলের নাম উঠে আসছে।
আইসিসিতে কে বা কারা বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি হবেন সেটাও ঠিক করা হবে সে দিনের বৈঠকে। এখন সৌরভ ও জয় দু’জনেই ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। পরবর্তীতে জয় বিসিসিআই সভাপতি হতে পারেন এবং সৌরভ বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থায় যেতে পারেন।
এ ছাড়া বিসিসিআই সে দিনের বৈঠকে একটি নতুন উপদেষ্টা কমিটি নিয়োগ করতে পারে। বর্তমান কমিটির প্রধান মদন লালের বয়স ৭০ বছর হয়ে যাওয়ায় তাঁকে সরে যেতে হয়েছে। তাই নতুন কমিটির প্রয়োজন রয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের নির্বাচক আবে কুরুভিল্লা পদ ছেড়ে দেওয়ায় নতুন নির্বাচক নিয়োগ হতে পারে বার্ষিক সাধারণ সভায়।