যদি মে-জুন মাসে নতুন চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন হত তা হলে জুলাইয়ে আইসিসির বার্ষিক সভায় নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিতেন। কিন্তু পুরো প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাওয়ায় সময় পাচ্ছে বিসিসিআই।
আইসিসি-তে নতুন দায়িত্বে জয় শাহ ফাইল চিত্র
চলতি বছর অক্টোবর মাস পর্যন্ত আইসিসি-র চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন গ্রেগর বার্কলে। দুবাইয়ে আইসিসি-র বৈঠকে এই বিষয়ে গ্রেগরকে রাজি করানো হয়েছে। অর্থাৎ নভেম্বর মাসের আগে নতুন চেয়ারম্যানের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে না। তার আগেই আইসিসি-র ক্রিকেট কমিটির সদস্য মনোনীত হলেন জয় শাহ। এই কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে কি আইসিসি-র পরবর্তী চেয়ারম্যান পদের জন্য বিসিসিআই সভাপতি বা সচিব কেউ আগ্রহ দেখাবেন। শুরু হয়েছে জল্পনা। অক্টোবর পর্যন্ত সময় পাওয়ায় বিসিসিআই-এর তরফে নিজেদের ঘুটি সাজানো আরও সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে নিউজিল্যান্ডের গ্রেগরকে আইসিসির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। যদি মে-জুন মাসে নতুন চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন হত তা হলে জুলাইয়ে আইসিসির বার্ষিক সভায় নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিতেন। কিন্তু পুরো প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাওয়ায় সময় পাচ্ছে বিসিসিআই। অক্টোবর মাসের মধ্যে বিসিসিআই-এর তরফে কে নির্বাচনে অংশ নেবেন তা অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
২০২৩ সালে ভারতে এক দিনের বিশ্বকাপ। সেই সময় আইসিসি-র সর্বোচ্চ পদে কোনও ভারতীয়কে দেখতে চাইছে বিসিসিআই। সেপ্টেম্বর মাসে বিসিসিআই-এর বার্ষিক সাধারণ সভা। সেখানেই বর্তমান বোর্ডের ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের পরে কুলিং অফ পিরিয়ডে যাওয়ার কথা সৌরভ ও জয়ের। তবে তাঁরা যাবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। কারণ লোধা কমিটির কিছু সুপারিশে পরিবর্তনের আবেদন অনেক আগেই করেছে বিসিসিআই। সেই আবেদনের বিষয়ে অবশ্য এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অন্দরে জল্পনা, আইসিসি-র পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসাবে জয়কে পাঠাতে পারে বিসিসিআই। তবে সৌরভের নামও উঠে আসছে। জল্পনায় আরও একটি নাম উঠে আসছে। তিনি বিসিসিআই-এর প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। আইসিসি-র পরবর্তী চেয়ারম্যান পদের জন্য তাঁর নামও প্রস্তাব করা হতে পারে। সেপ্টেম্বরে বোর্ডের বার্ষিক সভায় এই ছবিটা অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।