রজার বিন্নীর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। সেই বিষয়ে অবশেষে মুখ খুলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। —ফাইল চিত্র
বিসিসিআই সভাপতি রজার বিন্নীর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ করেছিলেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার প্রাক্তন আধিকারিক সঞ্জীব গুপ্তা। সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বোর্ডের এথিক্স কমিটি। বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসার বিনীত শরণ জানিয়েছেন, সঞ্জীবের অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুয়ো অভিযোগ করলে সঞ্জীবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
সঞ্জীবের অভিযোগ ছিল, এক দিকে বিন্নী বোর্ড সভাপতি, অন্য দিকে তাঁর পুত্রবধূ ময়ন্তি ল্যাঙ্গার সম্প্রচারকারী চ্যানেলে কাজ করেন। এতে স্বার্থের সংঘাত হচ্ছে। বোর্ড সভাপতি হিসাবে বাড়িতে সুবিধা করে দিচ্ছেন বিন্নী। কিন্তু বিনীত জানিয়েছেন, বিন্নীর পদের সঙ্গে ময়ন্তির কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ, ময়ন্তি সম্প্রচারকারী চ্যানেলে চাকরি করেন না। তিনি সেই চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। বিশেষ কিছু সিরিজ় বা প্রতিযোগিতায় সঞ্চালিকা হিসাবে তাঁর সঙ্গে চুক্তি করা হয়। আর সেটা বিন্নী সভাপতি হওয়ার অনেক আগে থেকে। তা হলে কী ভাবে সেখানে স্বার্থের সংঘাত হল?
সঞ্জীবকে আরও একটি কারণে সতর্ক করেছেন বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসার। বোর্ডের কাছে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরে সেই অভিযোগ সংক্রান্ত সব তথ্য অনেক সাংবাদিককে দিয়ে দেন সঞ্জীব। এটি নিয়মবিরুদ্ধ। ভবিষ্যতে তাঁকে এটি করতে নিষেধ করেছেন বিনীত।
তবে সঞ্জীবের অভিযোগ করার ইতিহাস অনেক পুরনো। এর আগে সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি, সবার বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ করেছিলেন তিনি। কোনও বার তাঁর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এ বারেও সেই একই ঘটনা ঘটল।