প্রতীকী ছবি।
আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে কিছু দিন আগেই ভারতীয় বোর্ডের কোষাগারে ঢুকেছে প্রায় পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা। অথচ রঞ্জি ট্রফিতে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) চালু করার জন্য টাকাই নেই তাদের! অদ্ভুত এমন যুক্তি দেওয়া হয়েছে বিসিসিআইয়ের তরফে।
রঞ্জি ট্রফি নকআউট পর্বে প্রায় প্রতি ম্যাচেই আম্পায়ারদের কোনও না কোনও ভুল দেখা যাচ্ছে। সেমিফাইনালে বাংলা বনাম মধ্যপ্রদেশের ম্যাচে একাধিক ভুল ধরা পড়েছে। ফাইনালের প্রথম দিনেই বিতর্ক হয়েছে। যে ম্যাচগুলি টিভিতে দেখানো হয়নি, সেখানেও ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অনেকের আশঙ্কা। তবে বোর্ড এ সবে বিশেষ পাত্তা দিচ্ছে না। এক কর্তা বলেছেন, “দেশের আম্পায়ারদের উপর আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। ডিআরএস ব্যবহার করতে গেলে অনেক খরচ। ফাইনালে ডিআরএস না থাকলে কী এসে যায়। মাঠের আম্পায়ারদের ভরসা করতে হবে। ভারতের দুই সেরা আম্পায়ার (কেএন অনন্তপদ্মনাভন এবং বীরেন্দ্র শর্মা) রঞ্জির ফাইনাল ম্যাচের দায়িত্বে। ফাইনালে যদি ডিআরএস চালু করতে হয় তা হলে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও চালু করা উচিত।”
বৃহস্পতিবার রঞ্জি ফাইনালের দ্বিতীয় দিনে সরফরাজ খান শতরান করেছেন। তবে প্রথম দিনে গৌরব যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে পারতেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০ মরসুমের সেমিফাইনালে সীমিত মাত্রায় ডিআরএস ব্যবহার করা হয়েছিল। সেখানে আসল যে দু’টি বিভাগ, সেই হক-আই এবং আল্ট্রাএজই ছিল না। ফলে কর্নাটকের বিরুদ্ধে ম্যাচে সৌরাষ্ট্র ব্যাটার চেতেশ্বর পুজারা দু’বার কট বিহাইন্ড হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান। কর্নাটক অভিযোগ করে, আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্তের জন্যেই তারা হেরেছে।
যদিও বোর্ড মানতে রাজি নয়। তাদের যুক্তি, “ডিআরএসের যন্ত্রপাতি চালানোর জন্য তার জোড়া এবং আলাদ করা অনেক ঝক্কির। হকআইয়ে অনেক ক্যামেরা লাগবে। রঞ্জিতে সীমিত যন্ত্র নিয়ে কাজ করা হয়। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারে যে কেন সব ম্যাচ টিভিতে দেখানো হবে না? খাপছাড়া ডিআরএস ব্যবহার করে কাজের কাজ হবে না।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।