ঈশান কিশন। — ফাইল চিত্র।
কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং নির্বাচকদের কথা না শোনায় বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন ঈশান কিশন। টেস্ট দল থেকে চলে আসা এবং ঘরোয়া ক্রিকেটকে উপেক্ষা করার শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে মত অনেকের। এ বার জানা গেল, সেই ‘অবাধ্য’ ক্রিকেটারকে ইংল্যান্ড সিরিজ়ের মাঝেও ডেকেছিল বোর্ড। সেই ডাকও প্রত্যাখ্যান করেন ঈশান। ফলে চুক্তি থেকে বাদ পড়া নিশ্চিত হয়ে যায়।
এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটের দাবি, প্রথম দু’টি টেস্টে উইকেটকিপার হিসাবে কেএস ভরত খারাপ খেলায় বোর্ডের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল ঈশানের সঙ্গে। ঈশান জানিয়ে দেন, এখনও তিনি টেস্ট খেলার জন্য তৈরি নন। সেই সময় তিনি অন্য কোনও ক্রিকেটও খেলছিলেন না। বাধ্য হয়ে ধ্রুব জুরেলকে বিকল্প উইকেটকিপার হিসাবে নেওয়া হয়। সেই জুরেল এতটাই ভাল খেলেছেন যে, টেস্টে ঈশানের আগামী দিনে সুযোগ পাওয়াই প্রশ্নের মুখে চলে গিয়েছে।
ঈশানের প্রত্যাখ্যান ভাল ভাবে নেয়নি বোর্ড। এমনিতেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে এসে ছুটি কাটানো বা এক রিয়্যালিটি শোয়ে অংশ নেওয়ার কারণে বোর্ডের বেশির ভাগ অংশের বিরাগভাজন হয়েছিলেন। বোর্ডের ডাক ফেরানোয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আর তাঁকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা ঠিক হবে না।
প্রসঙ্গত, ঈশানকে নিয়ে একই ওয়েবসাইটে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্তা বলেছিলেন, “বোর্ডের নির্দেশ না মেনে ঠিক করেনি ঈশান। যখন ওকে রঞ্জি খেলতে বলা হল তখন ও হার্দিকের সঙ্গে গিয়ে অনুশীলন করল। এই কাজ করে বোর্ডকে অসম্মান করেছে ঈশান। এমন নয় যে ও খারাপ ক্রিকেটার। ওর ফর্মের জন্য ওকে বাদ দেওয়া হয়নি। সব জায়গায় একটা শৃঙ্খলা রয়েছে। সেটা ভেঙেছে ঈশান। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও ঈশানের বিপক্ষে। তিনি বলেছিলেন, “ওর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলা উচিত ছিল। দেশের সেরা প্রতিযোগিতা খেলবে না? শ্রেয়স তবুও দু’দিন পর মুম্বইয়ের রঞ্জির সেমিফাইনাল খেলবে। ঈশান তরুণ ক্রিকেটার। ভারতের সব ধরনের দলে ছিল। আইপিএলে প্রচুর টাকার চুক্তি পেয়েছে। তার পরেও কেন রঞ্জি খেলবে না? ঈশানের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারের তো আরও বেশি করে এই ধরনের ক্রিকেট খেলা উচিত। আমি অবাক হয়েছিলাম ও না খেলায়।”