শাকিবের উপর নজর রাখবে বোর্ড। —ফাইল চিত্র
শাকিব আল হাসান জুয়া সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করলেও মন গলেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। কোনও উপায় না থাকায় এশিয়া কাপে হয়তো শাকিবকেই গিলতে হবে। তাঁকেই অধিনায়ক করা হবে। কিন্তু তার পর আর শাকিব বাংলাদেশের অধিনায়ক থাকবেন কি না, তা স্পষ্ট করে বলতে পারলেন না বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাপন বলেন, “এত কিছুর পরেও শাকিবকেই হয়তো অধিনায়ক করতে হবে। উপায় নাই। লিটন দাস বা নুরুল হাসান সুস্থ থাকলে ওদের কাউকেই অধিনায়ক করা হত। ওদের চোট রয়েছে। বৃহস্পতিবার এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোসাদ্দেক, রিয়াদ, বিজয়ের নাম এসেছে। সিনিয়রদের মধ্যে তো ওদের নামই আসে। তরুণদের মধ্যে এখনও কেউ তৈরি নয়। মেহেদী হাসান মিরাজ যদি টি-টোয়েন্টি টিমে থাকত, ওকে হয়তো এই দায়িত্ব দেওয়া যেত।” শনিবার এশিয়া কাপের দল বেছে নিতে পারে বাংলাদেশ।
কিন্তু ভবিষ্যতে যে শাকিবের পক্ষে আবার অধিনায়ক হওয়া মুশকিল, সেটা পাপনের কথাতেই পরিষ্কার। তিনি বলেন, ‘‘এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না। বৃহস্পতিবার রাতে দেশে আসছে শাকিব। ওর সঙ্গে বসব। টেলিফোনে তো আর এত কথা বলা যায় না। সামনাসামনি বসে ওর সঙ্গে কথা বলব।” শাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হবে, টাকার জন্য জুয়া সংস্থার সঙ্গে তিনি যুক্ত হয়েছেন কি না। যদি তাই হয়ে থাকে তা হলে আরও বেশি টাকার কোনও প্রলোভন পেলে শাকিব কী করবেন, জানতে চাইবেন পাপন।
এর আগে ম্যাচ গড়াপেটার কথা আইসিসি-কে না জানানোর জন্য এক বছর নির্বাসিত হয়েছিলেন শাকিব। ফের জুয়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়া। বার বার এমন ঘটনা ঘটায় পাপন বলেন, “এটাই ওর জন্য শেষ সুযোগ। কড়া নজরদারিতে রাখা হবে শাকিবকে। ভবিষ্যতে এমন কিছু হলে আমি কারও সঙ্গে আর আলোচনা করব না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই, আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটাররা ভাল ভাবে কেরিয়ার শেষ করুক। তাই বলে বার বার তাদের সুযোগ দেওয়া হবে না।”
অথচ শাকিবের হাতে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব পাকাপাকি ভাবে তুলে দেওয়ার ভাবনা ছিল বোর্ডের। কিন্তু জুয়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়া এবং পরে সরে আসার ঘটনার পর শাকিবকে আগামী দিনে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।