পাকিস্তান অল আউট হওয়ার পরে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: পিটিআই।
তৃতীয় দিনের শেষেই ইঙ্গিত মিলেছিল। চতুর্থ দিন সেটাই স্পষ্ট হল। আরও এক বার বড় রান করতে ব্যর্থ পাকিস্তানের ব্যাটিং। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অল আউট হয়ে গেল তারা। মহম্মদ রিজ়ওয়ান ও আঘা সলমন না থাকলে আরও সমস্যায় পড়ত পাকিস্তান। দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ় চুনকাম করতে বাংলাদেশের দরকার ১৮৫ রান।
চতুর্থ দিনের শেষে ২১ রানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। হাতে ছিল ৮ উইকেট। টেস্ট জিততে হলে পাকিস্তানের টপ অর্ডারকে রান করতে হত। সেটাই পারল না তারা। সাইম আয়ুব, শান মাসুদেরা শুরু করলেও বড় রান করতে পারলেন না। আরও এক বার ব্যর্থ বাবর আজ়ম। ১১ রান করলেন তিনি। একটা সময় ৮১ রানে ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে দলকে টানলেন রিজ়ওয়ান ও সলমন।
বাংলাদেশের দুই বোলার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানাকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটারেরা। তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেন রিজ়ওয়ান। তাঁকে সঙ্গ দিলেন সলমন। রিজ়ওয়ান ধীরে ধীরে অর্ধশতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু ৪৩ রান করে হাসানের বলে আউট হন তিনি। ১৪৫ রানে ৯ উইকেট পড়ে যায় পাকিস্তানের।
শেষ উইকেটে মির হামজ়াকে নিয়ে লড়াই করলেন সলমন। প্রতি ওভারে চার থেকে পাঁচটি বল খেললেন তিনি। শুধু উইকেট ধরে রাখেননি, বড় শটও খেলেন। ফলে ধীরে ধীরে পাকিস্তানের রান এগোয়। কিন্তু তাঁর একার পক্ষে দলকে বেশি ক্ষণ টানা সম্ভব ছিল না। শেষ পর্যন্ত ১৭২ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে যান সলমন। বাংলাদেশের হয়ে হাসান ৫টি ও নাহিদ ৪টি উইকেট নেন।
বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ১৮৫ রান। এই উইকেটে ব্যাট করা তুলনামূলক ভাবে কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম বার টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। এ বার তাঁদের সামনে সুযোগ পাকিস্তানকে চুনকাম করে সিরিজ় জেতার।