১০০ রানও করতে পারলেন মাহমুদুল্লাহরা। ছবি: পিটিআই
প্রথম ওভার থেকেই সাজঘরে ফিরতে শুরু করেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলারদের সামনে টিকতেই পারলেন লিটন দাসরা। মিচেল স্টার্কের বলে শূন্য রানে বোল্ড হন তিনি। এর পরের ওভারেই আউট সৌম্য সরকার। তিনি বোল্ড জস হ্যাজেলউডের বলে। শুরুর সেই ধাক্কা থেকে আর নিজেদের সামলাতে পারলেন না মাহমুদুল্লাহরা। পাঁচ উইকেট নিলেন অ্যাডাম জাম্পা।
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪-১ ব্যবধানে টি২০ সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের শক্তি অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে স্পিন সহায়ক উইকেটে যে সুবিধা পেয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহরা, বৃহস্পতিবার সেটা পেলেন না।
১০ ওভারের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে খোঁড়াচ্ছিল বাংলাদেশ। একের পর এক ব্যাটার ফিরে যাচ্ছিলেন এক অঙ্কের রান করেই। এমন অবস্থায় ওপেনার মহম্মদ নইম এবং অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ কিছুটা চেষ্টা করেন। ১৬ বলে ১৭ রান করেন নইম। মাহমুদুল্লাহ করেন ১৮ বলে ১৬ রান। তবে লজ্জা ঢাকতে পারেননি।
প্রথম দিকের ব্যাটাররা ফেরেন স্টার্কদের গতিতে। বাকি কাজটা করেন অ্যাডাম জাম্পা। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। হ্যাটট্রিকের সুযোগ এসেছিল তাঁর কাছে, কিন্তু উইকেটরক্ষণ ম্যাথু ওয়েড তাসকিন আহমেদের ক্যাচ ফেলে দেওয়ায় হ্যাটট্রিক করতে পারলেন না জাম্পা। তাঁর স্পিন সামলাতে হিমশিম খেলেন আফিফ হোসেনরা।
নইম, মাহমুদুল্লাহ ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে দুই অঙ্কের রান করেন শামিম হোসেন। ১৮ বলে ১৯ রান করেন তিনি। বাকি কোনও ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি।