মুশফিকুর রহিম। — ফাইল চিত্র।
হাত দিয়ে বল আটকে আউট হয়ে কিছু দিন আগেই শিরোনামে উঠে আসেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে এ ভাবে আউট হন তিনি। সেই আউটের পরে বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যম তাঁর বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ তুলেছিল। রেগে গিয়ে সেই সংবাদমাধ্যমকে আইনি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন মুশফিকুর। শোনা গিয়েছে, বাংলাদেশের বোর্ডের তরফেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশের ওই সংবাদমাধ্যমের নাম ‘একাত্তর টিভি’। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খানের মারফতে ওই সংবাদমাধ্যমটিকে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন মুশফিকুর। দাবি করেছেন, সমাজমাধ্যম, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম-সহ সমস্ত মাধ্যম থেকে ওই সংবাদ মুছে দিতে হবে। একইসঙ্গে টিভিতে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা দিয়ে প্রকাশ করতে হবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি। পাশাপাশি মুশফিকুরের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে এবং লিখিত ভাবে জানাতে হবে যাতে আগামী দিনে এমন ভুল আর না হয়।
মুশফিকুরের তরফে আইনজীবী শিহাব উদ্দিন বলেছেন, “যে অভিযোগ আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অসত্য। হলুদ সাংবাদিকতার আরও একটা নিদর্শন এই সংবাদ।” বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুশফিকুরের আউট নিয়ে মনগড়া, অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য পরিবেশ করে তাঁর ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনের উপরে কালিমা লেপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, মুশফিকুরের আউটের পরেই ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ আনা হয়। সেই ভিডিয়ো লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি ডাউনলোড করেছেন এবং ‘শেয়ার’ করেছেন বলে দাবি।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪১তম ওভারে এই ঘটনা ঘটে। কাইল জেমিসনের একটি শর্ট লেংথ বল ক্রিজে দাঁড়িয়ে খেলেন মুশফিকুর। সেটি পিচে ড্রপ করে লাফিয়ে ওঠে। মুশফিকুর আচমকা সেই বল হাত দিয়ে ঠেলে সরিয়ে দেন। সেই বলটি উইকেটে লাগার সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না। কিন্তু যে হেতু বলটি ‘ডেড’ হওয়ার আগেই মুশফিকুর ইচ্ছাকৃত ভাবে হাত দিয়ে সরিয়ে দেন, তাই নিউ জ়িল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করেন।
মাঠে থাকা আম্পায়ারেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তাঁরা তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্ত নিতে পাঠান। তৃতীয় আম্পায়ার আহসান রাজা মুশফিকুরকে আউট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এই আউট হওয়ার আগেও মুশফিকুর একই কায়দায় হাত দিয়ে বল সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সে বার তাঁর হাতে বল লাগেনি। অর্থাৎ হাতের সঙ্গে বলের সংযোগ হয়নি। তাই কিউয়ি ক্রিকেটারেরাও আবেদন করেননি।