আফগানিস্তানকে হারিয়ে উল্লাস বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। ছবি: টুইটার
দেশের মাটিতে টেস্টে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৫৪৬ রানের ব্যবধানে জয়ের পথে সাতটি নজির গড়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তার মধ্যে যেমন জয়ের ব্যবধান রয়েছে, তেমনই রয়েছে ব্যাটার ও বোলারদের ব্যক্তিগত নজির।
জয়ের ব্যবধান
মিরপুরে ৫৪৬ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি তৃতীয় সব থেকে বড় ব্যবধানে জয়। ১৯২৮ সালে ইংল্যান্ড ৬৭৫ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। এখনও পর্যন্ত রানের নিরিখে সেটিই টেস্টে সব থেকে বড় জয়। ১৯৩৪ সালে অস্ট্রেলিয়া ৫৬২ রানে হারিয়েছিল ইংল্যান্ডকে।
দ্বিতীয় ইনিংসে লিড
দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৬৬১ রানের লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ। পাঁচ দিনের টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে এটিই কোনও দেশের নেওয়া সব থেকে বড় লিড। এর আগে ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৫৯ রানের লিড নিয়েছিল নিউ জ়িল্যান্ড।
পেসারদের নজির
মিরপুরে দু’ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের পেসাররা ১৪টি উইকেট নিয়েছেন। কোনও টেস্টে বাংলাদেশের পেসারদের নেওয়া এটিই সর্বাধিক উইকেট। এর আগে ২০২২ সালে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৩টি উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা।
দুই ইনিংসেই শতরান
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসাবে এই নজির গড়েছেন নাজমুল হাসান শান্ত। প্রথম ইনিংসে ১৪৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৪ রান করেছেন তিনি। এর আগে ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুই ইনিংসেই শতরান করেছিলেন মোমিনুল হক।
ব্যাটিং গড়
এই টেস্টে ৮২.৮২ গড়ে ব্যাট করেছেন নাজমুল হাসান শান্ত। একটি টেস্টের দুই ইনিংসেই শতরান করা ব্যাটারদের নিরিখে এটি চতুর্থ সর্বাধিক। ২০১৪ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১৩৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৫ রান করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। সেই টেস্টে ৯০.৯০ গড়ে ব্যাট করেছিলেন তিনি।
প্রতিপক্ষের সর্বনিম্ন রান
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টে দুই ইনিংসেই অলআউট হওয়া প্রতিপক্ষের মধ্যে সব থেকে কম (দু’ইনিংস মিলিয়ে ২৬১) রান করেছে আফগানিস্তান। এর আগে ২০১৮ সালে মিরপুরেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৫৪ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়।
উইকেটের তালিকায় মেহেদি
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৩ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। টেস্টে ১৫১ উইকেট হয়েছে তাঁর। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে তৃতীয় বোলার হিসাবে ১৫০ উইকেট পার করেছেন তিনি। এর আগের দু’জন হলেন শাকিব আল হাসান (২৩৩) ও তাইজুল ইসলাম (১৭৭)।