টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলেন নুরুলরা। ছবি: টুইটার।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে ৩২ রানে হারাল বাংলাদেশ। দু’ম্যাচের সিরিজ় ২-০ ব্যবধানে জিতল নুরুল হাসানের দল। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ করে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান। জবাবে আমিরশাহির ইনিংস শেষ হল ৫ উইকেটে ১৩৭ রানে। এশিয়া কাপের ব্যর্থতার পর শাকিব আল হাসানকে ছাড়াই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলেন নুরুলরা।
টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান আমিরশাহির অধিনায়ক চুন্দঙ্গাপয়িল রিজওয়ান। ওপেনার মেহদি হাসান মিরাজ ছাড়া বাংলাদেশের কোনও ব্যাটারই অবশ্য তেমন ভাল রান করতে পারলেন না। মেহদি ৩৭ বলে ৪৬ রান করলেন ৫টি চারের সাহায্যে। অন্য ওপেনার সাব্বির রহমান রান পেলেন না (৯ বলে ১২)। তিন নম্বরে নেমে লিটন দাস করলেন ২০ বলে ২৫ রান। তিনি ৪টি চার মারেন। মোসাদ্দেক হোসেন ২২ বলে ২৭ রান করলেন ২টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে। আফিফ হোসেনের অবদান ১০ বলে ১৮ রান। শেষ পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন ইয়াসির আলি এবং নুরুল। তাঁরা অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ১৩ বলে ২১ এবং ১০ বলে ১৯ রান করে। অমিরশাহির সফলতম বোলার আয়ান আফজল খান ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। ১৪ রানে ১ উইকেট আরিয়ান লাকরার।
জবাবে আমিরশাহির প্রথম সারির কোনও ব্যাটারই রান পেলেন না। ওপেনার মহম্মদ ওয়াসিম ১৬ বলে ১৮ রান করলেও পরের তিন ব্যাটার দু’অঙ্কের রানও করতে পারলেন না। পাঁচ নম্বরে নামা অধিনায়ক রিজওয়ান এবং ছয় নম্বরে নামা বাসিল হামিদ কিছুটা লড়াই করলেন। তার আগেই অবশ্য ২৯ রানে ৪ উইকেট হারায় আমিরশাহি। হামিদ ৪০ বলে ৪২ রান করলেন ৪টি চারের সাহায্যে। বেশি আগ্রাসী ছিলেন রিজওয়ান। তিনি অর্ধশতরান করলেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৩৬ বলে ৫১ রান করে। মারলেন ২টি করে চার এবং ছয়।
বাংলাদেশের সফলতম বোলার মোসাদ্দেক ৮ রানে ২ উইকেট নিলেন। ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন জোরে বোলার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের অন্য বোলাররা তেমন দাগ কাটতে পারলেন না।