রোহিত শর্মা (বাঁ দিকে) এবং বাবর আজম। — ফাইল চিত্র।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে রিজার্ভ দিন রাখা হয়েছে। একমাত্র এই ম্যাচেই থাকছে রিজার্ভ দিন। তার পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করল শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ। দু’দেশের কোচই জানিয়েছেন, শুধু একটি ম্যাচের জন্যে রিজার্ভ দিন রাখা উচিত হয়নি। তাঁরাও রিজার্ভ দিন পাওয়ার যোগ্য।
বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিঙ্ঘে এই সিদ্ধান্তে অবাক। সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে তিনি বলেছেন, “এশিয়া কাপের একটা টেকনিক্যাল কমিটি রয়েছে যেখানে সব দেশের সদস্যেরা রয়েছে। হয়তো অন্য কিছু ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
হাতুরুসিঙ্ঘে স্পষ্ট জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁদের সঙ্গে কোনও রকম কথা বলা হয়নি। তাঁর কথায়, “এটা ঠিক নয়। আমাদের ম্যাচেও অতিরিক্ত একটা দিন দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। ওরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি আমাদের মতামত চাইত তা হলে নিশ্চয়ই দিতাম।”
শ্রীলঙ্কার কোচ ক্রিস সিলভারউডকে এই সিদ্ধান্তের কথা বলা হলে তিনিও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, “অবাক করা ব্যাপার। প্রথম বার শুনেই চমকে গিয়েছিলাম। তবে আমরা তো প্রতিযোগিতা আয়োজন করছি না। তাই এ ব্যাপারে হয়তো আমাদের কিছু করার নেই। তাই না?”
সিলভারউডের মতে, রিজার্ভ দিন থাকায় ভারত বা পাকিস্তানকে বাড়তি সুবিধা করে দেওয়া হল। তাঁর কথায়, “সত্যি বলতে, যদি ওদের দু’জনকেই পয়েন্ট দেওয়া হয় এবং আমাদের তাতে কোনও প্রভাব পড়ে, তা হলে সেটা খুবই খারাপ হবে।”
উল্লেখ্য, গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তানের লড়াই বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যায়। ভারত সেই ম্যাচে ব্যাট করলেও বৃষ্টির কারণে পাকিস্তান ব্যাট করতে নামতে পারেনি। সুপার ফোরে রবিবারের ম্যাচ ছাড়া এশিয়া কাপের ফাইনালের জন্য রিজার্ভ দিন রাখা হয়েছে। কলম্বোতে এই ম্যাচগুলি রয়েছে। সেখানে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণেই রিজার্ভ দিনের ব্যবস্থা করছে এসিসি। তাতে সায় রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেরও।
রিজার্ভ দিন থাকলেও ঘোষিত দিনেই খেলা শেষ করার চেষ্টা করা হবে। যদি কোনও কারণে পরের দিন খেলা হয়, তাহলে প্রথম দিন যত দূর পর্যন্ত খেলা হয়েছে, সেখান থেকেই শুরু হবে। ২০১৯ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেমন হয়েছিল ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচে।
কলম্বোর যা আবহাওয়া তাতে আগামী এক সপ্তাহ সেখানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের পি প্রস্তুতকারক গডফ্রে ডাব্রেরা বলেন, “বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার সকালেও বৃষ্টি হয়েছে। ফলে পিচ এবং তার আশপাশ স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে আছে। আউটফিল্ডেও জল রয়েছে। কিন্তু আমরা পরিশ্রম করছি। ম্যাচের আগে মাঠ তৈরি করে ফেলার আত্মবিশ্বাস রয়েছে।”
এক সময় জানা গিয়েছিল, কলম্বো থেকে ম্যাচগুলি সরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এশিয়ার ক্রিকেট কাউন্সিল ঠিক করে যে ম্যাচ কলম্বোতেই হবে। ডাব্রেরা মনে করেন, তাঁর দল এমন অবস্থা সামাল দিতে যথেষ্ট দক্ষ। তিনি বলেন, “কলম্বো, পাল্লেকেলে এবং হামবানটোটায় বৃষ্টি হচ্ছে। আমরা ১০০ জন মাঠকর্মী নিয়ে কাজ করছি। এই তিন জায়গার পিচই তৈরি রাখা হচ্ছে। ম্যাচ কলম্বোতেই হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। তবে তিনটি মাঠই তৈরি। প্রয়োজনে যে কোনও জায়গায় খেলা হতে পারে।”