তৃপ্ত: ভারতকে হারানোর স্মৃতি আনন্দ দিচ্ছে বাবরকে। ছবি: টুইটার থেকে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে দশ উইকেটে হারানোর মুহূর্তকেই বর্ষসেরা হিসেবে বেছে নিলেন বাবর আজ়ম। পাক অধিনায়ক জানিয়েছেন, গত বছর বাইশ গজে বহু উপভোগ্য মুহূর্ত কাটিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে সেরা বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয়। যা সহজে ভোলা যায় না।
পাশাপাশি গত বছরের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে কুড়ির বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হারকেই বেছে নিয়েছেন বাবর।
পাকিস্তানে বছর শেষে এক পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাবর বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হারের সেই মুহূর্ত এখনও ভুলতে পারিনি। কখনও পারবও না।’’ যোগ করেন, ‘‘বিশ্বকাপে আমরা যে ছন্দে ছিলাম, সেখান থেকে ট্রফি নিয়ে আসা উচিত ছিল। সমর্থকেরাও আমাদের অপ্রত্যাশিত হারে কষ্ট পেয়েছে। ২০২১ সালের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত বেছে নিতে বললে আমি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হারকেই বেছে নেব।’’
বাবরের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ২০২১ সালের সেরা মুহূর্ত কোনটা? বাবর নির্দ্বিধায় বলে দেন, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপে জেতার মুহূর্তই সবচেয়ে বিশেষ। দল হিসেবে এর চেয়ে ভাল প্রাপ্তি আর হয় না। বহু বছর ধরে বিশ্বকাপে আমাদের বিরুদ্ধে জিতে আসছিল ভারত। কিন্তু এ বার আর পারেনি।’’
বাবর জানিয়েছেন, ভারতের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে সেই জয় দলের মানও বাড়িয়েছে। সেই ম্যাচের আগে পাকিস্তানকে বড় দল হিসেবে দেখা হচ্ছিল না। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই ধরে নেওয়া হয়েছিল, জিতছেন কোহলিরা। কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে রোহিত শর্মা ও কে এল রাহুল ফিরতেই ছবিটা পাল্টে যায়। পাকিস্তানকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভাবতে শুরু করে ভারত। তাদের রানের গতিও থেমে যায়।
বাবর বলেছেন, ‘‘আমাদের দলের প্রতি বাকিদের সম্মান অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। আমাদের সমীহ করতে শুরু করেছিল ক্রিকেটবিশ্ব। এখনও আমাদের সেই জয় নিয়ে চর্চা হয়।’’
বাবর খুশি হয়েছেন পাক ক্রিকেটে তরুণ ক্রিকেটারদের উত্থানে। বলেছেন, ‘‘আমাদের দেশ থেকে যে তরুণরা উঠে আসছে, সেটাই সাফল্যের অন্যতম কারণ। এ ভাবেই ক্রিকেটে একটি দেশ উন্নতি করে। আশা করি, পাকিস্তানও করবে।’’