বাবরদের ম্যাচ চলাকালীনই স্টেডিয়ামের বাইরে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি
জোর বেঁচে গেলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি। রবিবার দুপুরে কোয়েটায় বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের কয়েক মাইল দূরেই চলছিল পাকিস্তান সুপার লিগের প্রদর্শনী ম্যাচ। সেই ম্যাচ মাঝপথেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাবর এবং আফ্রিদিকে নিরাপদে সাজঘরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
কোয়েটার নবাব আকবর বুগতি স্টেডিয়ামে চলছিল পাকিস্তান সুপার লিগের ওই প্রদর্শনী ম্যাচ। পুলিশ লাইন্স এলাকায় বিস্ফোরণের পরে ম্যাচ কিছু ক্ষণের জন্যে বন্ধ থাকে। ওই বিস্ফোরণে পাঁচ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বর্ষীয়ান এক পুলিশ আধিকারিক।
দীর্ঘ দিন ধরেই কোয়েটার বালুচ অঞ্চলের বাসিন্দারা দাবি তুলছিলেন সেই এলাকায় পিএসএলের ম্যাচ আয়োজন করার। সেই আবদার মেনে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স এবং পেশওয়ার জালমির একটি প্রদর্শনী ম্যাচের ব্যবস্থা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ওই পুলিশ কর্তা বলেছেন, “বিস্ফোরণ হওয়ার পরেই সাবধানতা অবলম্বন করে ম্যাচ থামিয়ে দেওয়া হয় এবং ক্রিকেটারদের সাজঘরে ফিরিয়ে যাওয়া হয়। পরে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর ম্যাচ শুরু করা হয়।” এই ম্যাচ দেখার জন্য স্টেডিয়াম ঠাসা ছিল।
পিএসএলে কোয়েটার নিজস্ব দল থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের দলের ম্যাচ দেখতে পারেন না। গত কয়েক বছর ধরেই এলাকায় দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্ম বেড়ে গিয়েছে। পাকিস্তান বোর্ড তবু ঝুঁকি নিয়ে প্রদর্শনী ম্যাচ আয়োজন করেছিল। কিন্তু এই বিস্ফোরণের ফলে কোয়েটায় ম্যাচ হওয়া নিয়ে সংশয় থেকেই গেল।
পেশোয়ারের বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। এর মধ্যেই আবার বিস্ফোরণ হল সে দেশে। এ বার আক্রান্ত পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা। রবিবার কোয়েটার সেনাছাউনির প্রবেশপথে পুলিশের সদর দফতরের কাছেই এই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের ছবি এবং ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে প্রশাসনের আশঙ্কা, অনেকেই আহত হয়ে থাকতে পারেন। তবে সরকারের তরফে রবিবার দুপুর পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
রবিবারের ঘটনাটির পর পাক সংবাদসংস্থা ডন জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণ নিয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন দুপুর পর্যন্ত কোনও বিবৃতি জারি করেনি। তবে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে একটি বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী তেহরিক-এ-তালিবান। তারা জানিয়েছে, নিরাপত্তাকর্মীরাই ছিলেন এই বিস্ফোরণের লক্ষ্য। স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবরের উল্লেখ করে পাক সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, অন্তত পাঁচ জন জখম হয়েছেন এই ঘটনায়।
কোয়েটার যেখানে এই বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই এলাকাটি অত্যন্ত সুরক্ষিত। কারণ বিস্ফোরণ স্থল আসলে একটি সেনাছাউনির প্রবেশপথ। কাছেই রয়েছে পুলিশের সদর দফতরও। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া এই এলাকায় বিস্ফোরণ কী করে ঘটালে নাশকতাবাদীরা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।