ICC ODI World Cup 2023

২৯৩ রানে একারই ২০১, চার ২১, ছক্কা ১০! অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে কোন মন্ত্রে জয়, জানালেন ম্যাক্সওয়েল

হারের মুখ থেকে দলকে জিতিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কোন মন্ত্রে ২০১ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি, ম্যাচ শেষে জানালেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:০৮
Share:

দলকে জিতিয়ে হাসিমুখে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ছবি: পিটিআই

২৯২ রান তাড়া করতে নেমে একাই অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি যখন নামেন তখনও ম্যাচ জিততে ২৪৪ রান দরকার। সেখান থেকে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছেন তিনি। ২৪৪ রানের মধ্যে ২০১ রান একাই করেছেন। যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন তখন কী ভাবছিলেন ম্যাক্সওয়েল? একের পর এক উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে কি চাপে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি? ম্যাচ শেষে জানালেন ম্যাক্সওয়েল।

Advertisement

ওয়াংখেড়ের প্রবল গরমে ৫০ ওভার বল করার পরে ব্যাট করা সহজ ছিল না বলে জানিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রচণ্ড গরমে ফিল্ডিং করেছি। সেই কারণে সমস্যা হচ্ছিল। ক্র্যাম্প ধরছিল। তাই মাঝেমাঝে শুয়ে পড়ে সেটা ঠিক করার চেষ্টা করছিলাম। শেষ দিকে ব্যথা বাড়ছিল। কিন্তু তার পরেও ব্যাটিং চালিয়ে গিয়েছি।’’

কী ভাবে এ রকম ইনিংস খেললেন ম্যাক্সওয়েল? কী ভাবে ২১টি চার ও ১০টি ছক্কা মারলেন? তার মধ্যে শেষ দিকে বেশির ভাগই এক পায়ে দাঁড়িয়ে। ম্যাক্সওয়েল জানিয়েছেন, মনের জোর কমতে দেননি তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার বলেন, ‘‘আমি সব সময় ইতিবাচক থেকেছি। মনের জোর ধরে রেখেছি। মনকে বুঝিয়েছি যে খারাপ বল পেলে মারব। নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। বল দেখে খেলছিলাম। একটা সময়ের পরে ব্যাটে বল খুব ভাল ভাবে আসছিল। তাই শট খেলতে সুবিধা হচ্ছিল।’’

Advertisement

তবে সুযোগ দিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর একটি সহজ ক্যাচ পড়েছে। এক বার আম্পায়ার আউট দেওয়ার পরেও রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন। তিনি এ রকমই খেলেন বলে জানিয়েছেন অসি ব্যাটার। ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘‘আমি এ রকমই খেলি। প্রতিপক্ষকে সুযোগ দিই। এই ইনিংসেও দিয়েছি। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়ার পরে ঠিক করে নিয়েছিলাম যে এ বার হাত খুলে খেলব। প্রথম দুটো ম্যাচে হারার পরে সবাই ভেবেছিল আমরা আর সেমিফাইনালে উঠতে পারব না। অনেক জবাব দেওয়ার ছিল। সেটাও দিলাম।’’

বিশ্বকাপের ইতিহাসে রান তাড়া করতে নেমে সব থেকে বেশি রান করেছেন ম্যাক্সওয়েল। চলতি বিশ্বকাপে এর আগে দ্রুততম শতরানের বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। আরও একটি বিশ্বরেকর্ড গড়লেন। দলকে একার কাঁধে সেমিফাইনালে তুললেন। দেখিয়ে দিলেন, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement