প্যাট কামিন্স। —ফাইল চিত্র।
খেলা যে এ ভাবে বদলে যাবে ভাবতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড। প্রথম দিন যে পিচে ১৭ উইকেট পড়েছিল, দ্বিতীয় দিন সেখানেই পড়ল মাত্র ৩ উইকেট। পার্থে দ্বিতীয় দিনের পিচ চিনতে পারছে না অস্ট্রেলিয়াই। অবাক দলের কোচ। ভারতের ১৭২ রানের জুটি ভাঙতে না পারায় দলের বোলারদের দোষ দিচ্ছেন না তিনি।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে পিচের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ম্যাকডোনাল্ড। তিনি বলেন, “দ্বিতীয় দিন পিচ এত শুকিয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। আমরা ভেবেছিলাম পিচ থেকে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যাবে। কিচ্ছু পাওয়া যায়নি। আমরা অবাক হয়েছি। পার্থের পিচ থেকে বোলারেরা সাহায্য পাচ্ছে না, এ দৃশ্যও কোনও দিন দেখব ভাবিনি।”
প্রথম দিন অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের লাইন ও লেংথের সামনে সমস্যায় পড়েছিল ভারত। গোটা দল ১৫০ রানে অল আউট হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে সেখানেই ওপেনিং জুটি ১৭২ রান করেছে। বোলারদের দোষ দিচ্ছেন না অসি কোচ। ম্যাকডোনাল্ড বলেন, “বোলারেরা প্রথম দিন যে রকম বল করেছিল, দ্বিতীয় দিনও তাই করেছে। ওরা ভেবেছিল পিচ থেকে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যাবে। সুইং, স্পিন কিচ্ছু হয়নি। এই ধরনের উইকেটে ভাগ্যের সাহায্য লাগে। সেটা আমরা পাইনি।”
ভারতীয় ব্যাটারেরাও নিজেদের খেলার ধরন বদলেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে যশস্বী জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুল অনেক সাবধানে খেলেছেন। টেস্ট যে ভাবে খেলা উচিত সেটাই করেছেন তাঁরা। ফলে ২০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনও ওপেনিং জুটি শতরান করেছে। ভারতীয় ব্যাটারদের প্রশংসা করেছেন ম্যাকডোনাল্ড। তিনি বলেন, “পিচে বোলারেরা সাহায্য না পেলেও ব্যাটারদের কৃতিত্ব না দিলে চলবে না। ওরা উইকেট ছুড়ে আসেনি। যশস্বী ও রাহুল খুব ভাল খেলেছে। আমাদের কোনও সুযোগ ওরা দেয়নি।”
অস্ট্রেলিয়ার থেকে এখনই ২১৮ রানে এগিয়ে ভারত। হাতে ১০ উইকেট রয়েছে তাদের। তবে এখনই নিজেদের ম্যাচের বাইরে ভাবছেন না ম্যাকডোনাল্ড। দলের ক্রিকেটারদের উপর ভরসা রয়েছে তাঁর। অসি কোচ বলেন, “আমরা পিছিয়ে পড়েছি। তার মানে এই নয় যে হেরে গিয়েছি। টেস্টে একটা সেশনে ছবি বদলে যেতে পারে। ২০ ওভার পর নতুন বল পাব। আশা করছি সেই বল আমরা কাজে লাগাতে পারব। ৪০০-র বেশি লিড হয়ে গেলে সমস্যা। তবে এখন অত কিছু ভাবছি না। আগে ভারতের ইনিংস শেষ করার লক্ষ্য আমাদের। তার পর নিজেদের ব্যাটিংয়ের কথা ভাবব। পিচ এ রকম থাকলে আমাদের ব্যাটারেরাও কিন্তু ভাল খেলবে।”