দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট তুলে অস্ট্রেলিয়ার উচ্ছ্বাস। ছবি: পিটিআই
ব্রিসবেনের সবুজ উইকেটে ব্যাটারদের নাভিশ্বাস উঠল। দু’দিনেই পড়ল ৩৪টি উইকেট। প্রথম দিনে গিয়েছিল ১৫টি উইকেট। দ্বিতীয় দিনে গেল ১৯টি। ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতল অস্ট্রেলিয়া। দুই দলের পেসাররাই নিলেন ৩০টি উইকেট। ট্রেভিস হেড এই পিচেও ৯২ রান করে গেলেন। ম্যাচের সেরাও হলেন তিনিই।
প্রথম দিনের খেলা শেষে আন্দাজ করা যায়নি যে পরের দিনেই শেষ হয়ে যাবে টেস্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫২ রান তুলেছিল। কাইল ভেরেইন ৬৮ রান করেন। তিনিই এক মাত্র ব্যাটার যিনি, সেই ইনিংসে অর্ধশতরান করেন। টেম্বা বাভুমা ৩৮ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭টি উইকেট নেন পেসাররা। তিনটি নেন স্পিনার নাথান লায়ন। মিচেল স্টার্ক নেন তিনটি এবং দু’টি করে উইকেট নেন প্যাট কামিন্স এবং স্কট বোলান্ড।
জবাবে অস্ট্রেলিয়া তোলে ২১৮ রান। এর মধ্যে ৯২ রান করেন হেড। তিনিই ব্যবধান গড়ে দিলেন দুই দলের মধ্যে। তাঁর ৯৬ বলে ৯২ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস দেখাল কী ভাবে সবুজ পিচে খেলতে হয়। অস্ট্রেলিয়ার ১০টি উইকেটই তুললেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা। কাগিসো রাবাডা নেন ৪ উইকেট। তিনটি উইকেট মার্কো জানসেনের। দু’টি উইকেট নেন এনরিখ নোখিয়া এবং একটি উইকেট লুঙ্গি এনগিডির।
প্রথম দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ১৪৫। সেখান থেকে দ্বিতীয় দিনে তারা শেষ হয়ে ২১৮ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে মাত্র ৬৪ রানে এগিয়ে শেষ করে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সুযোগ ছিল বড় রান তুলে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলে দেওয়ার। কিন্তু সে সুযোগ দিলেন না কামিন্সরা। মাত্র ৯৯ রান গুটিয়ে গেল প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস। খায়া জ়োন্ডো করেন ৩৬ রান। বাভুমা করেন ২৯ রান। কেউই অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলারদের সামলাতে পারলেন না।
৫ উইকেট নেন কামিন্স। দু’টি করে উইকেট নেন স্টার্ক এবং বোলান্ড। একটি উইকেট নেন লায়ন। জয়ের জন্য মাত্র ৩৪ রান প্রয়োজন ছিল অস্ট্রেলিয়ার। সেই রান তুলতে গিয়েও ৪ উইকেট হারাল তারা। চারটি উইকেটই নিলেন রাবাডা। এই ইনিংসেও ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। ৩৫ রানের মধ্যে ১৯ রানই দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা দিলেন অতিরিক্ত হিসাবে। কোনও ব্যাটার দু’অঙ্কের রানও করতে পারেননি। আর একটু বেশি রান দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে থাকলে ফল যে অন্য রকম হত না, তা বলা কঠিন।
এমন টেস্ট শেষে অবশ্যই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ব্রিসবেনের পিচ ঘিরে। পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডিতে পাটা উইকেট তৈরি করার জন্য পয়েন্ট কেটেছিল আইসিসি। এ বার ব্রিসবেনের সবুজ উইকেট নিয়ে তারা কোনও ব্যবস্থা নেয় কি না সেই দিকে নজর থাকবে।