ইংল্যান্ডের হয়ে শতরান করলেন দাউইদ মালান। কিন্তু কাজে এল না তাঁর রান। হেরে মাঠ ছাড়তে হল ইংরেজদের। ছবি: টুইটার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ল ইংল্যান্ড। প্রথম এক দিনের ম্যাচে ৬ উইকেটে হারল তারা। অ্যাডিলেডে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রান করে ইংল্যান্ড। শতরান করেন দাউইদ মালান। সেই রান তাড়া করতে কোনও সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল খেলতে না পারলেও এক দিনের সিরিজ়ে ছন্দে ফিরলেন ডেভিড ওয়ার্নার। রান করলেন ট্র্যাভিস হেড ও স্টিভ স্মিথ। ১৯ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি। বাটলার ও হেলসকে আউট করতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। অনেকটা সেই পথেই হাঁটল অস্ট্রেলিয়া। তাদের ওপেনিং জুটিতে উঠল ১৪৭ রান। সেই জুটিই ম্যাচ হারিয়ে দিল বাটলারদের।
টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। শুরুটা ভাল হয়নি বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। দুই ওপেনার জেসন রয় ও ফিলিপ সল্ট রান পাননি। তিন নম্বরে নামা মালান ভাল খেললেন়। চোটের কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে খেলতে পারেননি তিনি। কিন্তু এই ম্যাচে ছন্দে খেললেন। তাঁকে সঙ্গ দিলেন স্যাম বিলিংস, জস বাটলাররা। কিন্তু বড় রান করতে পারেননি তাঁরা।
এক দিকে টিকেছিলেন মালান। শতরান করেন তিনি। শেষ দিকে ডেভিড উইলি গুরুত্বপূর্ণ ৩৪ রান করেন। ১২৮ বলে ১৩৪ রান করে আউট হয়ে যান মালান। ১২টি চার ও চারটি ছক্কা মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৮৭ রান করে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কামিন্স ও জাম্পা ৩টি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে ভাল শুরু করেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও হেড। পাওয়ার প্লে-র ব্যবহার খুব ভাল করেন তাঁরা। প্রথম উইকেটে ১৪৭ রান যোগ করেন দুই ব্যাটার। তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারেননি ইংল্যান্ডের কোনও বোলার। প্রতি ওভারে দ্রুত রান উঠছিল। অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারই অর্ধশতরান করেন।
অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ধাক্কা দেন ক্রিস জর্ডন। ৬৯ রান করে আউট হন হেড। তার পরে ওয়ার্নারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন স্মিথ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম একাদশে সে রকম সুযোগই পাননি তিনি। তবে এক দিনের দলে ফিরেই ছন্দে ফিরলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। দু’জনে মিলে দলের রানকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। ৮৬ রান করে ডেভিড উইলির বলে সাজঘরে ফেরেন ওয়ার্নার। তত ক্ষণে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার ২০০ রান পেরিয়ে গিয়েছে।
দুই ওপেনার আউট হলেও ক্রিজে ছিলেন স্মিথ। তাঁকে আউট করতে পারেননি ইংরেজ বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ১৯ বল বাকি থাকতে জয়ের রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন স্মিথ।