ডেভিড ওয়ার্নার।
ডেভিড ওয়ার্নার স্বীকার করছেন, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব করতে পারলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করবেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় বল-বিকৃতি কেলেঙ্কারির জেরে অস্ট্রেলীয় বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ওয়ার্নারকে ভবিষ্যতে অধিনায়ক করা হবে না। স্টিভ স্মিথের উপরেও একই রকম নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। কিন্তু অ্যাশেজ়ে তিনি নেতৃত্বে দেন দলের। তাই মনে করা হচ্ছে, ওয়ার্নারের উপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে বাঁ হাতি ওপেনারকে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে দেখারপক্ষে অনেকে।
অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে ওয়ার্নার অবশ্য জানিয়েছেন, অধিনায়কত্ব পেলে সম্মানিত বোধ করবেন ঠিকই। তবে তার জন্য কোনও তাড়াহুড়োও তাঁর নেই। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও এ নিয়ে কোনও কথাবার্তা হয়নি এখনও। তাঁর কথায়, ‘‘অস্ট্রেলীয় বোর্ডের সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি এখনও। কিন্তু বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে, নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করব।’’ যোগ করেছেন, ‘‘এখনও অনেক রাস্তা যাওয়া বাকি। অনেক কিছু পরিষ্কার হওয়া দরকার। অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা হওয়া দরকার কর্তাদের সঙ্গে। আমার প্রধান লক্ষ্য ক্রিকেট খেলে যাওয়া।’’
কী ভাবে মাঠের মধ্যে তাঁর উগ্র মনোভাবকে ছেঁটে ফেলেছেন, তা নিয়েও কথা বলেছেন ওয়ার্নার। ‘‘সব সময়ই আমার মাঠের আচরণ নিয়ে চর্চা হয়েছে। কতটা আগ্রাসী ছিলাম, কত কথা বলতাম, এ সব নিয়ে সারাক্ষণ মন্তব্য করা হত। কিন্তু পরিবর্তনটা করেছি সব দিক ভেবেই। দলের জন্য আমার যে আচরণ দরকার, আমি সেটাই রাখব।’’ তাঁকে নিয়ে জনতার প্রতিক্রিয়া কী, তা দেখে নিজেকে পাল্টাতে চান না ওয়ার্নার। ‘‘যদি আমার সঙ্গে বসে পানীয় হাতে কথা বলো, তা হলেই জানতে পারবে আমি মানুষটা কেমন। তখন আমার সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা পাল্টে যাবে,’’ বলছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং তারকা। তাঁর আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘টিভিতে আমাকে যেমন দেখছ, তাতে যদি কারও ভাল না লাগে তা হলে একটাই কথা বলব। আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে তোমরা কেউ চেনো না। যাদের সঙ্গে আমি খেলেছি, সেই সতীর্থরা নিশ্চয়ই স্বীকার করবে আমি বন্ধু হিসেবে খারাপ নই।’’ তার পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘জনতা আমাকে নিয়ে কী ভাবছে, সে সব চিন্তা করাই ছেড়ে দিয়েছি। কারণ, দিনের শেষে এটাই সত্য যে জীবনটা আমার। আর তাকে আমারই পরিচালনা করতে হবে।’’
এ দিকে, অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স মনে করছেন, তাঁদের দলের নতুন তারকা এসে গিয়েছেন। কাঁর নাম ক্যামেরন গ্রিন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা পেসার কামিন্সের পূর্বাভাস, আইপিএলে আকাশছোঁয়া দর পেতে চলেছেন গ্রিন। ‘‘কাউকে আইপিএলে খেলার জন্য দোষ দেওয়া যায় না। ও যখনই খেলুক না কেন, উচ্চ দর উঠতে চলেছে,’’ অস্ট্রেলিয়া দলের স্পনসরের একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন কামিন্স। যোগ করেছেন, ‘‘ওকে নিয়ে আমার মাথায় সবার প্রথমে যে কথাটা আসে, তা হল, তাড়াতাড়ি যেন ওকে নিঃশেষ না করে দিই আমরা। গত দু’বছর ধরে অনেক ক্রিকেট খেলেও যে নিজেকে সুস্থ রাখতে পেরেছে, তা খুবই স্বস্তিদায়ক। ওর দু’টো দিকই শক্তিশালী। তাই বোলিং না করলেও ব্যাটিং করে যেতে পারে।’’
সব ধরনের ক্রিকেটেই অলরাউন্ডার হিসেবে দেশের হয়ে খেলছেন গ্রিন। ১৪টি টেস্ট, ১২টি ওয়ান ডে এবং চারটি টি-টোয়েন্টি খেলছেন তিনি। সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে গ্রিন তিনটি ম্যাচে ১১৮ রান করেন। ডেভিড ওয়ার্নারের অনুপস্থিতিতে অ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে ওপেন করে তাঁর স্কোর ছিল ৬১, ৫, ৫২। ‘‘গ্রিন এমন এক জন যে খেলতে ভালবাসে। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গিয়েও ও খেলতে থাকে। আমাদের তাই দেখতে হবে, কতটা ক্রিকেট ওর জন্য উপযুক্ত। দেখতে হবে যেন দীর্ঘদিন ধরে ও দলের কাজে আসতে পারে।’’