দ্বিশতরানের পরে উল্লাস ইংল্যান্ডের ব্যাটার ট্যামি বিউমন্টের। ছবি: রয়টার্স
দ্বিতীয় দিনের শেষ ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন ইংল্যান্ডের ট্যামি বিউমন্ট। তৃতীয় দিন আরও ১০৮ রান যোগ করলেন তিনি। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত খেললেন। তাঁর ব্যাটেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে লড়াই করল ইংল্যান্ড। মাত্র ১০ রান পিছনে অলআউট হল তারা। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভাল করেছে অস্ট্রেলিয়া। মহিলাদের অ্যাশেজে তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের থেকে ৯২ রানে এগিয়ে তারা।
দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ২ উইকেটে ২১৮। বিউমন্টের সঙ্গে ৪১ রান করে অপরাজিত ছিলে ন্যাট শিভার ব্রান্ট। তৃতীয় দিনের শুরুটা ভালই করেন তাঁরা। প্রথম ঘণ্টায় খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। নিজেক অর্ধশতরান পূর্ণ করেন শিভার ব্রান্ট। ইংল্যান্ডের এই জুটি ভাঙেন অ্যাশলি গার্ডনার। ৫৭ রানের মাথায় আউট হন শিভার ব্রান্ট। সোফিয়া ডাঙ্কলি রান পাননি।
দুই উইকেট পড়লেও এক দিকে সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন বিউমন্ট। বল দেখে খেলছিলেন। তাঁকে সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না এলিস পেরি, তাহিলা ম্যাকগ্রারা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার রানের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য দরকার ছিল একটা বড় জুটি। বিউমন্টের সঙ্গে সেই জুটি বাঁধলেন ড্যানিয়েল ওয়াট। দু’জনে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দ্রুত রান করছিলেন ওয়াট। ৪৪ রানের মাথায় ডার্সি ব্রাউনের বলে আউট হন তিনি।
তার পরে ছোট ছোট কয়েকটি জুটি হল ইংল্যান্ডের। নীচের সারির ব্যাটাররা চেষ্টা করেন বিউমন্টের সঙ্গে থাকার। কিন্তু বিউমন্ট বুঝতে পারছিলেন যে তাঁকেই হাত খুলতে হবে। ফলে শেষ দিকে বেশ দ্রুত রান করছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে দ্বিশতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন। অবশেষে মিড উইকেট এলাকায় সিঙ্গল নিয়ে নিজের দ্বিশতরান পূর্ণ করেন তিনি। বিউমন্ট প্রথম মহিলা ইংরেজ ক্রিকেটার যিনি টেস্টে দ্বিশতরান করলেন। সেই সঙ্গে দলের রানও ৪০০ পেরিয়ে যায়। এই প্রথম বার টেস্টে এক ইনিংসে ৪০০-র বেশি রান করল ইংল্যান্ডের মহিলা দল। সেটা হল বিউমন্টের জন্যই।
শেষ দিকে বল হাতে দাপট দেখালেন ম্যাকগ্রা। পর পর তিনটি উইকেট নিলেন তিনি। শেষে বড় শট মারতে গিয়ে ২০৮ রানের মাথায় গার্ডনারের বলে আউট হলেন বিউমন্ট। ৪৬৩ রানে শেষ হল ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস।
১০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত রান করতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার বেথ মুনি ও ফোবে লিচফিল্ড। ওভারে ৫ রানের বেশি উঠছিল। ইংল্যান্ডের পেসারদের অনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের ফায়দা তুলছিলেন তাঁরা। ১৯ ওভার বল করেও ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারেনি ইংল্যান্ড। তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান বিনা উইকেটে ৮২। মুনি ৩৩ ও লিচফিল্ড ৪১ রান করে ব্যাট করছেন।