দ্বিতীয় টেস্টেও দাপট অস্ট্রেলিয়ার। ছবি: এএফপি।
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টেও চাপে নিউ জ়িল্যান্ড। টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করার সুবিধা কাজে লাগাতে পারল না টিম সাউদির দল। ১৬২ রানে শেষ হয়ে গেল আয়োজকদের প্রথম ইনিংস। জবাবে প্রথম দিন খেলা শেষ হওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার রান ৪ উইকেটে ১২৪।
অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না কিউয়ি ব্যাটারেরা। ওপেনার টম লাথাম এবং ছয় নম্বরে নামা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার টম ব্লান্ডেল ছাড়া কেউই তেমন কিছু করতে পারলেন না। লাথাম করেন ৩৮ রান। অন্য ওপেনার উইল ইয়ংয়ের ব্যাট থেকে এল ১৪ রান। তিন নম্বরে নামা কেন উইলিয়ামসন ১৭ রান করলেন। শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসে রান পেলেন না নিউ জ়িল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক। ব্যর্থ রাচিন রবীন্দ্র (৪), ডারিল মিচেল (৪)। ব্লান্ডেল করলেন ২২। শেষ দিকে কিছুটা লড়াই করলেন ম্যাট হেনরি এবং সাউদি। হেনরির ব্যাট থেকে এল ২৮ বলে ২৯ রানের ইনিংস। শততম টেস্টে নিউ জ়িল্যান্ড অধিনায়ক করলেন ২০ বলে ২৬। শেষ দিকে তাঁদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সুবাদে কিছুটা মুখ রক্ষা হল আয়োজকদের।
অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে এ দিন সুবিধা করতে পারলেন না নিউ জ়িল্যান্ডের ব্যাটারেরা। ৩১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার জস হ্যাজলউড। ৫৯ রানে ৩ উইকেট মিচেল স্টার্কের। ৩৫ রানে ১ উইকেট কামিন্সের। ২১ রান খরচ করে ১ উইকেট ক্যামেরন গ্রিনের। অর্থাৎ নিউ জ়িল্যান্ডের ১০টি উইকেটই তুলে নিয়েছেন সফরকারী দলের জোরে বোলারেরা।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়াও। দুই ওপেনার স্মিভ স্মিথ এবং উসমান খোয়াজা দ্রুত আউট হয়ে যান। স্মিথ ১১ এবং খোয়াজা ১৬ রান করেন। ৩২ রানে ২ উইকেট পড়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন মার্নাস লাবুশেন এবং গ্রিনের জুটি। লাবুশেন দিনের শেষে অপরাজিত রয়েছেন ৪৫ রান করে। গ্রিন করেছেন ২৫। তৃতীয় উইকেটের জুটি তাঁরা তোলেন ৪৯ রান। বড় রান পেলেন না ট্র্যাভিস হেডও (২১)। দিনের শেষে লাবুশেনের সঙ্গে ২২ গজে রয়েছেন নাথান লায়ন (অপরাজিত ১)।
৩৯ রানের বিনিময় ৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলীয় শিবিরে আঘাত হানেন ম্যাট হেনরি। ৩৮ রানে ১ উইকেট বেন সিয়ার্সের। প্রথম টেস্টে জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দুই ম্যাচের সিরিজ়ে হার বাঁচাতে হলে ক্রাইস্ট চার্চে জিততেই হবে নিউ জ়িল্যান্ডকে।