গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক হিউম্যানিটিজ়ের ‘নোবেল’ বলে পরিচিত ‘হলবার্গ’ পুরস্কার পাচ্ছেন শুনে উচ্ছ্বসিত ‘পশ্চিমবঙ্গ খেড়িয়া শবর কল্যাণ সমিতি’। তাঁর হাত ধরেই আশির দশকে শবর সমিতি পরিচালিত পুরুলিয়ার চারটি স্কুলে মিডডে মিল চালু হয়েছিল।
৫ জুন নরওয়ের বেরজেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গায়ত্রীকে পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কারের আর্থিক মূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা। এই খবরে পশ্চিমবঙ্গ খেড়িয়া শবর কল্যাণ সমিতি গায়ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ খেড়িয়া শবর কল্যাণ সমিতির পরিচালক প্রশান্ত রক্ষিত জানান, ১৯৮৮ সালে সমিতির কার্যকরী সভাপতি মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে গায়ত্রী পুরুলিয়া জেলার কেন্দার রাজনওয়াগড়ের অফিসে আসেন। সমিতির কার্যকলাপে তিনি আকৃষ্ট হন। শবর পড়ুয়াদের জন্য কিছু করতে চান বলে জানান।
তাঁর আর্থিক সহায়তায় খুদে শবর পড়ুয়াদের জন্য পুরুলিয়া জেলার কুদা, জনড়া, ব্যাঙথুপি ও অকড়বাদ গ্রামে চারটি পাঠভবন তৈরি করা হয়। ভবনের গায়ে তাঁর নাম লেখা রয়েছে।
একবার সমিতির অফিসে আলোচনায় শবর সমিতির প্রতিষ্ঠাতা গোপীবল্লভ সিংহদেও গায়ত্রীকে জানান, খালি পেটে পড়ুয়ারা বেশিক্ষণ স্কুলে থাকতে পারে না। তাদের তাড়াতাড়িছুটি দিয়ে দিতে হয়।
প্রশান্তের কথায়, ‘‘ওই আলোচনায় আমিও উপস্থিত ছিলাম। গায়ত্রীদেবী চারটি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করে গিয়েছিলেন। সে অর্থে ওঁর হাত ধরেই পুরুলিয়ার কোনও স্কুলে প্রথম মিডডে মিল চালু হয়েছিল।পরবর্তী সময়ে ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় শবর সমিতির অফিসেআসা কমে গেলেও নিয়মিত খোঁজ রাখতেন। তার এই সম্মানে শবর সমিতিও সম্মানিত।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে