শতরানের পর ডেভিড ওয়ার্নার। ছবি: এক্স।
ডেভিড ওয়ার্নারকে শেষ টেস্ট সিরিজ় খেলতে দেওয়া নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন মিচেল জনসন। পার্থে ১৬৪ রানের ইনিংস খেলে তাঁকে চুপ করিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার। শতরান করে ঠোঁটে আঙুল রেখে উচ্ছ্বাস করেছিলেন ওয়ার্নার। অনেকের মতে তা ছিল জনসনদের মতো সমালোচকদের চুপ করানোর উদ্দেশে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পার্থ টেস্টের প্রথম দিনে ওয়ার্নারের শতরানে ভর করে অস্ট্রেলিয়া তুলল ৩৪৬ রান। হাতে এখনও ৫ উইকেট রয়েছে। পাকিস্তানের বোলারদের কাউকেই ছাড়েননি ওয়ার্নারেরা। এই টেস্টে করা শতরান ওয়ার্নারের কাছে বাকি ২৫টি টেস্ট শতরানের থেকে আলাদা। জনসন দাবি করেছিলেন ওয়ার্নারের টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়াই উচিত নয়। শতরান করে ওয়ার্নার বুঝিয়ে দিলেন, তাঁকে দলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া কোনও ভুল করেনি।
দিনের খেলার মাঝেই ওয়ার্নারকে তাঁর শতরান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, “আমার কাজ রান করা। উসমান খোয়াজা এবং স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ভাল জুটি তৈরি হল। শতরান করে ভাল লাগছে। আর সমালোচকদের চুপ করাতে হলে রান করার থেকে ভাল কী বা হতে পারে।”
বিদায়ী টেস্ট সিরিজ় খেলতে চেয়েছিলেন ওয়ার্নার। তাঁর দাবি মেনে নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। প্রথম টেস্টের দলে রাখা হয় ওয়ার্নারকে। তার পরেই তাঁকে নিশানা করেছিলেন জনসন। তিনি বলেছিলেন, “শেষ ৩৬ টেস্ট ইনিংসে ২৬ গড়ে ব্যাট করেছে ওয়ার্নার। এক জন ওপেনার যদি এত খারাপ ফর্মে থাকে তা হলে কেন তাকে খেলানো হবে। শুধুমাত্র বিদায়ী সিরিজ় বলে। এর কোনও মানে হয় না। বেইলির সেটা বোঝা উচিত ছিল। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নয়, ফর্ম দেখে দল গড়া উচিত ছিল।”
বৃহস্পতিবার ওয়ার্নার ২১১ বলে করেন ১৬৪ রান। তিনি ১৬টি চার এবং চারটি ছক্কা মারেন। এক সময় ১০০-র উপর স্ট্রাইক রেট ছিল ওয়ার্নারের। এক দিনের বিশ্বকাপের ফর্ম টেস্টেও দেখাচ্ছেন তিনি। ১১০টি টেস্টে ৮৬৫১ রান করে ফেলেছেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট সব থেকে রান করার তালিকায় পাঁচ নম্বরে তিনি। টপকে গেলেন মাইকেল ক্লার্ককে। সামনে রয়েছেন রিকি পন্টিং (১৩,৩৭৮), অ্যালান বর্ডার (১১,১৭৪), স্টিভ ওয় (১০.৯২৭) এবং স্টিভ স্মিথ (৯৫৩১)।
এই ম্যাচে খোয়াজা ৪১ রান করেন। স্টিভ স্মিথ করেন ৩১ রান। বিশ্বকাপ ফাইনালে শতরান করা ট্রেভিড হেড করেন ৪০ রান। খুব বেশি রান করতে পারেননি মার্নাস লাবুশেন (১৬)। ক্রিজ়ে রয়েছেন মিচেল মার্শ (১৫) এবং অ্যালেক্স ক্যারি (১৪)।