এশিয়া কাপের ম্যাচে হংকংয়ের বিরুদ্ধে অর্ধ শতরানের পর সূর্যকুমার। ছবি: টুইটার।
২৬ বলে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। ছ’টি চার এবং ছ’টি ছয়। ব্যাট হাতে হংকংয়ের বিরুদ্ধে কার্যত তাণ্ডব চালালেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর এই আগ্রাসনের ব্যাখ্যা ক্রিকেট ব্যকরণে খুঁজতে গেলে ভুলই হবে।
মাঠের চার দিকে শট খেলেছেন। অফ স্টাম্পের বাইরের খাটো লেংথের বলকে অবলীলায় পাঠিয়েছেন লেগ সাইডের গ্যালারিতে। হংকংয়ের বোলাররা বুঝতেই পারছিলেন না, কোথায় বল ফেললে সূর্যকুমারের আগ্রাসনে বাধ দেওয়া যাবে। কী ভাবে সম্ভব এমন ব্যাটিং! ইনিংসের বিরতিতে নিজেই রহস্য উন্মোচন করেছেন সূর্যকুমার।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার বলেছেন, ‘‘এমন ধরনের শট কখনও অনুশীলন করিনি। ছোট বেলায় বন্ধুদের সঙ্গে রবারের বলে ক্রিকেট খেলতাম। তখন এ রকম শট খেলতাম। ছোট বেলার ক্রিকেট থেকেই এই শটগুলো তুলে এনেছি। উইকেট একটু মন্থর ছিল শুরুতে। ব্যাট করতে যাওয়ার আগে রোহিত শর্মা এবং ঋষভ পন্থের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ওদের বলেছিলাম রান তোলার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করব। ১৭০-১৭৫ রান তোলার চেষ্টা করব।’’
দ্রুত গতিতে রান তোলার চেষ্টাতেই এমন আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন সূর্যকুমার। তাঁর ইনিংসে ভর করেই ভারতীয় দল হংকংয়ের বিরুদ্ধে সম্মানজনক রান তুলতে পেরেছে। ভারতীয় ইনিংসের শুরুতে লোকেশ রাহুল এবং রোহিত শর্মা ছিলেন কিছুটা মন্থর। রাহুল আউট হওয়ার পর দুবাইয়ের ২২ গজে সূর্যকুমার যখন নামেন, তখন ভারতের রান ছিল ১৩ ওভারে ৯৪। শেষ সাত ওভারে ওঠে ৯৮ রান। উইকেটে সূর্যকুমারের সঙ্গে ছিলেন বিরাট কোহলী। তবু তাঁদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৬৮ রানই এল সূর্যকুমারের ব্যাট থেকে। উইকেটের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে সূর্যের তাপ উপভোগ করলেন কোহলী।