Asia Cup 2022

উইকেট হারালেও পরোয়া করবেন না, ক্রিজে নেমে প্রথম বল থেকেই মারতে চান ‘ফিনিশার’ কার্তিক

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁকে ব্যবহার করা হচ্ছে ফিনিশার হিসাবে। বুধবার হংকং ম্যাচে নামার আগে কার্তিক পরিষ্কার করে দিলেন, নিজের ভূমিকা সম্পর্কে তাঁর ধারণা খুব স্পষ্ট। প্রথম বল থেকেই মারতে চান।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ২১:৫০
Share:

নিজেকে ফিনিশার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ভয়ডরহীন হতে চান কার্তিক। ফাইল ছবি

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতীয় দলে দীনেশ কার্তিককে ব্যবহার করা হচ্ছে ফিনিশার হিসাবে। দলে হার্দিক পাণ্ড্যও রয়েছেন, ইদানীং যাঁর ম্যাচ শেষ করার দক্ষতাও প্রশংসিত হচ্ছে। কাকে তা হলে ভারতীয় দলে ‘ফিনিশার’ হিসাবে ধরা হবে? বুধবার হংকং ম্যাচে নামার আগে কার্তিক পরিষ্কার করে দিলেন, নিজের ভূমিকা সম্পর্কে তাঁর ধারণা খুব স্পষ্ট। তিনি প্রথম বল থেকেই মারতে চান। তার জন্য উইকেট হারাতে হলেও পরোয়া করবেন না। পাশাপাশি জানিয়েছেন, কঠিন পরিস্থিতিতে মানসিকতা ঠিক রাখাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।

Advertisement

হংকং ম্যাচ শুরুর আগে কার্তিক বলেন, “মাঝের সারির ব্যাটারদের মধ্যে যোগাযোগ থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রান তাড়া করার মতো পরিস্থিতিতে নতুন ব্যাটার হিসাবে আমি মোটেই ডট বল খেলতে চাই না। তাতে যদি প্রথম বল থেকে মারতে হয় তাতেও রাজি। উইকেট হারাতে ভয় পাই না। আমার থেকে দল বা ক্রিজে আমার সতীর্থ যা চায়, সেটাই করতে চাই। যোগাযোগ ঠিক রাখতে হবে।”

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হার্দিকের সঙ্গে ঠিক সেই যোগাযোগটাই হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কার্তিক। তাঁর কথায়, “হার্দিক আর আমি আগেও এ ব্যাপারে কথা বলেছি। স্পষ্ট ভাবনাচিন্তা থাকা খুব দরকার। কোনও কোনও দিন এমন আসবে যখন পরিস্থিতি সহজ থাকবে না। আমি ভাল ব্যাট করছি না, তা হলে কি দলে থাকা উচিত? এ ধরনের প্রশ্ন মাথায় আসতেই পারে। কখনও কঠিন পরিস্থিতিতে রান না-ও পেতে পারি। এ সময়ে নিজের দক্ষতা এবং বিশ্বাসের উপর ভরসা রাখতে হয়। কোনও কোনও দিন তা কাজে লেগে যায়। সে দিনই আপনি চ্যাম্পিয়ন।”

Advertisement

আগের দিন হার্দিক যে ভাবে ম্যাচ বের করেছেন, তাতে খুশি কার্তিক। সে দিন উল্টো দিক থেকে এসে হার্দিকের মাথা চাপড়ে দেন তিনি। এ দিন বলেছেন, “অসাধারণ একটা ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছিল। দু’দিকেই ম্যাচ ঝুলছিল। হার্দিক পাণ্ড্যের মতো একজন রক্ষাকর্তাকে সে দিন আমরা পেয়েছিলাম। দুর্দান্ত ইনিংস খেলল। ওকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘তুমি কি চাও আমি প্রথম বল থেকে মারি, নাকি খুচরো রান নিয়ে তোমাকে স্ট্রাইক দিই। তুমিই ঠিক করো।’ ও আমাকে বলল, অনেক সময় রয়েছে। ধীরেসুস্থে খেলো। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ওকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কারণ, ওই পরিস্থিতিতে সেটাই দরকার ছিল। ও অনেকক্ষণ ধরে ব্যাটিং করছিল, তাই ভাল পরামর্শ দিতে পারত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement